এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট থেকে : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চরহোগলাবুনিয়া আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্মাণাধীন নতুন ভবনের কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি । ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। পাঠদান হচ্ছে ব্যাহত।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের চরহোগলাবুনিয়া আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪ তলা ফাউন্ডেশনের প্রথম তলা নতুন ভবন শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিমাণার্ধীন কাজটি ২০১৮ সালে শুরু হলেও অদ্যবদি পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। সরকারিভাবে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের মাধ্যমে ভবনটি নির্মানের জন্য প্রথমে বরাদ্দ হয় ৬৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৫শ’ টাকা। পরবর্তীতে চলমান কাজের এক বছরের মাথায় পাইল নির্মাণের পুনরায় ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা দুই কিস্তিতে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৫শ’ টাকা বরাদ্দ হয়। মেসার্স আনিস ট্রেডাস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি শুরু করলেও ধিরগতিতে চলছে নতুন ভবনের কাজ। ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ার ৯ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে ৪ বছরেও কাজটি এখনও সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নেই কোন তদারকি। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। দেখা গেছে নির্মাণাধীন ভবনের পাসেই বিকল্প ব্যবস্থায় একটি টিনশেটের ছাপড়া ঘরে চলছে পাঠদান। বিভিন্ন শ্রেনীকক্ষের ১২৩ জন শিক্ষার্থী দুই শিফটে চলে ঝুঁকিপূর্ন ছাপড়া ঘরে পাঠদান।
কথা হয় ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, মিস সুমি আক্তার, তামিমাসহ একাধিকরা বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে শ্রেনীকক্ষে পানিতে সয়লাভ হয়ে যায়। টিনের তাপে প্রচন্ড গরমে ক্লাশ করতে খুবই কষ্ট হয়। কবে আমরা নতুন ভবনে ক্লাস করতে পারবো?
চরহোগলাবুনিয়া আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভবনের কাজটি চলমান রয়েছে। কষ্ট করে বিকল্প ঘরে পাঠদান দিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি কিছুটা কম হচ্ছে। নতুন ভবন হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসাটির সভাপতি অধ্যাপক শামীম আহ্সান পলাশ বলেন, ৯ মাসে নির্মানাধীন কাজটির শেষ হবার কথা ছিলো। করোনা ও বরাদ্দ নেই বলে এ রকম কথা বলে কাজটি ধিরগতিতে চলছে। দ্রুত কাজটি সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, উপজেলায় চলমান নতুন ভবনের কাজগুলো সর্ম্পকে ইতোপূর্বে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারকে অবহিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে পুনরায় লিখিত আকারে জানানো হবে।
এ সর্ম্পকে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী আ স ম জুলফিকার হোসেন সিদ্দিকী বলেন, চরহোগলাবুনিয়া নির্মাণাধীন ভবনের কাজটি ট্রেন্ডারের পরেই মহামারি করোনা ও দুই বারে বরাদ্দ হওয়ার মাঝ পথে পাইল নির্মানের কাজ করতে হয়েছে যে কারনে বিলম্ব হয়েছে কাজটিতে। তবে, ডিসেম্বর নাগাত কাজটি শেষ হবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এমআই