সর্বশেষ সংবাদ
সিলেট প্রতিনিধি: দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করাসহ বিভিন্ন
দাবিতে সিলেটসহ সারাদেশে ২৩১ টি চা-বাগানে একযোগে ধর্মঘট করছেন শ্রমিকরা। আজ শনিবার থেকে চা-বাগানে
অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সিলেটের লাক্কাতুরা
চা-বাগানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন চা-শ্রমিকেরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘দুনিয়ার
মজদুর এক হও’, ‘৩০০ টাকা মজুরি দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘রুটি-রুজির
সংগ্রাম চলছে চলবে’ বলে স্লোগান
দেন। এছাড়া বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তাদেরকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ
সম্পাদক নৃপেন পাল জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত সারাদেশের চা-বাগানে এই
আন্দোলন চলবে।
নৃপেন পাল বলেন, একযোগে দেশের ২৪১টি
চা বাগানে মজুরি বাড়ানোর আন্দোলন চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়ে
যাওয়ার পরও চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। গত বছর চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও
বাগান মালিকদের চুক্তি স্বাক্ষর অনুযায়ী দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার কথা। কিন্তু তা
বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চারদিন ধরে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি
পালন করা হয়। আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। শ্রমিকদের
দাবি মানা না হলে তারা কাজে ফিরবেন না। প্রয়োজনে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য
হবেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের
২৪টি চা বাগানের ১০ জন শ্রমিক নেতার সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম
দপ্তরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এজন্য অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে বাগানগুলোতে পুরোপুরিভাবে উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম
বলেন, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আমাদের এক ঘণ্টার বৈঠক হয়েছিল। আগামী ২৮ আগস্ট বাগান
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখে শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে সড়ে যাওয়ার অনুরোধ
করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা এতে সম্মত হননি।
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল