জেলা প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়েবাড়ির গেট বানানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আশরাফি জানান, সোমবার (১৫ আগস্ট) সীতারামপুর গ্রামের রিয়াজুদ্দিন গোষ্ঠীর রাজুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। সেখান ডেকোরেশনের লোকজন কাজ করছিলেন। দৌলতপুর গ্রামের হাসান আলী বাড়ির এক ছেলেও সেখানে কাজ করছিলেন।
ডেকোরেশনের গেটের কাজ বিয়ে বাড়ির লোকজনের পছন্দ হয়নি। এ নিয়ে ডেকোরেশনের কাজ করা দৌলতপুরের ওই ছেলেটির সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি মিমাংসা করতে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের এক জায়গায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। সেখানে আমিও ছিলাম। সন্ধ্যার পর খবর আসে বিয়ে বাড়ির গেটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের দুই যুবক মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসী মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধে যায়। অনেকে এতে আহত হয়েছেন। অনেক দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় যায়। দুই গ্রামের বাসিন্দাদের নিবৃত্ত করতে সেখানে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।’
এদিকে, ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর ও পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ ওই এলাকায় পরিদর্শন করেন।
এমআই