সময় জার্নাল ডেস্ক: কাকডাকা ভোর। রাজধানী ঢাকার সদর দরজা ঘেঁষেই চলছে বাণিজ্যের ধুন্ধুমার কান্ড। তা হলো ভুলতার গাউছিয়া হাট। দরদামের কোলাহল, কুলিদের ব্যস্ততা। মার্কেটের সামনে থাকে ভ্যান-রিকশার দীর্ঘ সারি। হাটের গা ঘেঁষে সড়কে থাকে ট্রাকের বহর। কাপড়ের বিশাল গাঁট উঠছে, নামছে। লোড নিয়ে চলেছে দূর-অদূর গন্তব্যে।
একসময় কেবল শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও চাদরের জন্য যে গাউছিয়া হাটের সুখ্যাতি ছিল তার প্রশস্ততা বেড়েছে অনেক। বর্তমানে হাটটি দেশের বড় তাঁতবস্ত্র বিপণনকেন্দ্র। রুমাল থেকে জামদানি শাড়ি, মাথার টুপি থেকে পাঞ্জাবি সব মেলে এই হাটে।
চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, বগুড়া, জামালপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের সব প্রান্তের পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে মুখর থাকে গাউছিয়া হাট।
ভুলতা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে গাউছিয়া মার্কেটটি গড়ে ওঠে ১৯৭৯ সালে ছোট্ট পরিসরে। মার্কেটের প্রথম ভবন গড়ে ওঠে ১৯৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি। ধীরে ধীরে ১২০ বিঘা জমির ওপর মার্কেট সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে গাউছিয়া-১ ও গাউছিয়া-২ মার্কেটে পাইকারি কাপড়, শাড়ি, ওড়না, লুঙ্গি, গামছা বিক্রি হয়।
গাউসিয়া মার্কেটে পাইকারী কাপড়ের দোকান রয়েছে সাড়ে ৪ হাজারের উপড়ে। তবে এসব দোকান সবগুলো খোলা থাকে মঙ্গলবার। অন্যদিনগুলোতে কিছু দোকান বন্ধ থাকে। মঙ্গলবারে একেকটি দোকানে বিক্রি হয় কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আবার কোনো কোনো দোকান ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা বিক্রি করে।
একেকজন জীবন-যুদ্ধের অগ্রসেনানি। সবাই আজ স্বাবলম্বী। প্রতি মঙ্গলবার সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার নারী রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে সমবেত হয়। আর এই মার্কেট ঘুরিয়ে দিয়েছে ওদের ভাগ্যের চাকা।
সময় জার্নাল/এলআর