আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কোভিড অতিমারীর পরেই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়েছে রাশিয়ার। একদিকে কোভিড , অন্যদিকে যুদ্ধ। মূলত এই দুটি কারণেই সেদেশের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে। জনসংখ্যা বাড়াতে নয়া দাওয়াই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। রাশিয়ান রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডঃ জেনি ম্যাথার্স, টাইমস রেডিওতে সম্প্রচারকারী হেনরি বনসুর সাথে 'মাদার হিরোইন' নামে পরিচিত একটি নতুন রাশিয়ান প্রকল্প সম্পর্কে কথা বলেছেন। জানা গিয়েছে, গোটা পরিকল্পনা করেছেন পুতিন স্বয়ং! প্রকল্প অনুযায়ী , দশটি সন্তানের জন্ম দিতে হবে প্রত্যেক রুশ মহিলাকে। তার দশম সন্তানের এক বছর বয়স হওয়ার পরেই এককালীন টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। তবে সব শিশুদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
এই বছরের মার্চ থেকে রাশিয়া করোনভাইরাসের দাপটে ভুগছে, অন্যদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে ৫০ হাজারের কাছাকাছি সৈন্যকে হারিয়েছে তারা। রাশিয়ায় যাদের দশ বা ততোধিক সন্তান থাকবে সেই মাকে 'মাদার হিরোইন' বা সেই পরিবারকে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করা হবে।
এটি রাশিয়ার জনসংখ্যাগত সংকট পুনরুদ্ধার করার একটি প্রয়াস বলে উল্লেখ করেছেন জেনি ম্যাথার্স। পুতিনের ডিক্রি মাফিক, রুশ নারীরা তাদের দশম সন্তানের প্রথম জন্মদিনে পৌঁছানোর পরে এককালীন ১ মিলিয়ন রুবেল, প্রায় ১৩,৫০০ পাউন্ড পেমেন্ট পাবেন এই শর্তে যে তাঁর বাকি নয় সন্তান সুস্থ আছে। ম্যাথার্স আরও জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালের পর থেকেই রাশিয়ার জনসংখ্যার বৃদ্ধি সেভাবে হচ্ছে না। তাই রুশ সরকার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে যেন দেশের জনসংখ্যা বাড়ানো যায়। রাশিয়ান নারীদের উত্সাহিত করার একটি প্রচেষ্টা স্বরূপ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই প্রকল্প এনেছেন। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন আসছে -অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত রাশিয়ায় ১৩,৫০০ পাউন্ড দিয়ে আদৌ কি ১০ শিশুকে লালন-পালন করা সম্ভব ?
সূত্র : express.co.uk
এমআই