ডিআইইউ প্রতিনিধি:
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সিএসই বিভাগের কুতুব আলম নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রবিবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ আবু তারেক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ পত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, কুতুব আলম ডিআইইউ সিএসই বিভাগের ডে-৫৫ ব্যাচের ছাএ। গত ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি ক্লাবে ব্যানার টানানো ও বন্যার ত্রানের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে লিমন সরকারে নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় রাফিদ, আব্দুর রহমান, তানজিন, সুজন, রাজকুমারসহ আরও অনেকে ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের অনেকেই ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় গ্রীন রোড ক্যাম্পাস ক্যান্টিনের সিসি ক্যামেরা অজানা কারনে বন্ধ ছিল। তবে ছাত্রলীগের পূর্ব পরিকল্পিত হামলার কারণে তারাই সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে পারে বলে অভিযোগকারী উল্লেখ করেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, বিচার চাইতে নানামুখী চাপ এবং অপপ্রচারের ভয়ে আমি কিছুই বলতে পারিনি। ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। একইসাথে আমার পরিবারে জানালেও তারা আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে আমি নিরাপত্তা সংকটে ভুগছি। তবে মানসিক ট্রমা থাকে বের হবার পর আমার মনে হয়েছে এ ত্রাসের রাজত্ব শেষ হওয়া উচিত। আমার মত এমন ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও অনেকেই আছেন। তারা কেউই প্রানের ভয়ে তাদের এই ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না।
এদিকে এ ঘটনা কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের হাতে আসা লিমন সরকার ও তার সহযোগীদের কনভারসেশনের স্ক্রিনশটে দেখা দেখা গেছে, লিমন তার সহযোগীদের কুতুবকে মারধরের নির্দেশ দিচ্ছেন। একইসাথে কুতুবের বাপদের তালিকা চাওয়ার প্রমানও মিলেছে সেখানে। এছাড়া লিমনের আরেক সহযোগী আব্দুর রহিম লিখেছেন 'কুতুবকে কুপাবো'।
অভিযোগের বিষয়ে লিমন সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অভিযোগপত্র প্রদান বিষয়ে তিনি জানেন না। সেদিন কি ঘটেছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযোগকারী কুতুব আলম এর বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকে নানান অভিযোগ পাওয়া যায় তার ভিত্তিতে সেদিন তাকে ডেকে ভবিষ্যতে যেন এসব না করেন সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ আবু তারেকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মাঝে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর