ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই আমাদের দেশেও নির্বাচন হবে। বিএনপি আসলেও আগামী নির্বাচন হবে না আসলেও হবে। নির্বাচন আগেও কারো জন্য থেমে থাকেনি, সামনেও কারো জন্য থেমে থাকবে না। নির্বাচনে না আসলে ক্ষতি বিএনপির নিজের। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন থেমে থাকবে না। নির্বাচনে আমরাই জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের দলের মধ্যেই অনুপ্রবেশকারী মীর জাফর আছে। সামনের নানা আন্দোলন সংগ্রামে দলে অনুপ্রবেশকারী এসব মীর জাফরদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কানাইখালি পুরাতন বাস টার্মিনালে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শোকসভার ব্যানারে আয়োজিত বিশাল জন সমাবেশে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি রতœা আহমেদ এমপি, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, নাটোরের পিপি সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক শেখ, চিত্ত রঞ্জন সাহা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আব্দুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।
শোক সভা শুরুর আগে শহরের শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ষ্টেডিয়াম এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে একটি বিশাল শোক র্যালী বের হয়ে শোক সভায় এসে মিলিত হয়। এদিকে শোকসভার জন্য প্যান্ডেল তৈরী করে শহরের মহাসড়কে সকল পরিবহন চলাচল বন্ধ করায় সমালোচনা করেছেন শহরের সাধারণ মানুষসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিরোধী নেতাকর্মীরা।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ২১বার শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্ঠা করা হয়েছে। আল্লাহ প্রতিবার তাকে রক্ষা করেছেন। ৭৫এ জিয়াউর রহমান জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। ২০০৪সালে তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্ঠা করেছে। আজ শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই মুজিব হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে। সমুদ্রবিজয় হয়েছে। সীমান্ত চুক্তি হয়েছে। মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে। দেশে এখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে শ্রীলংকার আগেই বাংলদেশ শ্রীলংকা হয়ে যেতো।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জ্বালানী তেল, গ্যাস ও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী নয়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় এখানেও দাম বেড়েছে। বিএনপি বাংলা ভাই ও শায়েখ আব্দুর রহমানকে দিয়ে এই এলাকায় প্রকাশ্যে জঙ্গীবাদ কায়েম করেছিল।
সময় জার্নাল/এলআর