আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের দু’টি তেল স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে অন্তত ১৭টি ড্রোন ও দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তবে সৌদি সরকার এখনও এই হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
সোমবার (১২ এপ্রিল) ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থাপনায় ১৭টি ড্রোন ও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ড্রোন সৌদি আরবের জুবাইলে এবং জেদ্দায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
আরামকো বলছে, তারা প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া আরও পরের দিকে জানাবে। এ দিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ‘সৌদি আরব লক্ষ্য করে ১৭টি ড্রোন এবং দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
গত ২৩ মার্চ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আভা বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালায় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে রিয়াদের নতুন শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয়ার পরদিন ইরান সমর্থিত হুথি সৌদিতে হামলার দাবি করে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
যদিও ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লাখো মানুষ। চলমান এই সংঘাতে ইয়েমেন চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। সূত্র : রয়টার্স।
সময় জার্নাল/আরইউ