বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা জরুরি

মঙ্গলবার, আগস্ট ৩০, ২০২২
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা জরুরি

মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য বর্তমান প্রজন্মকে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। সুস্থ্য দেহ ও সুস্থ্য মনের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যবান ও শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব। 

‘দুপুরের খাবার স্কুলে খাব, রোগমুক্ত জীবন গড়বো’-এ স্লোগানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে ২০২৩ সালের মধ্যেই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বা দুপুরের খাবার সরবরাহ করার চিন্তা করছে সরকার। এরই মধ্যে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাইলট ভিত্তিতে মিড ডে মিল চালু করেছিল সরকার। 

এর উদ্দেশ্য হলো; বিদ্যালয়ে ভর্তিকরণ, শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা, তাদের উপস্থিতি বাড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলা এবং একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। তবে খিচুড়ি প্রকল্প বাতিল হওয়ায় আবারও মিড ডে মিল চালু প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবীদরা। 

চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার সোনাকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে মিড-ডে মিল চালু করা প্রয়োজন। এতে করে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিহীনতা কেটে যাবে এবং উপস্থিতির হার বাড়বে। মিড ডে মিলে ভাত, শাক কিংবা ডাল, ডিম এগুলোই যথেষ্ট। অথবা সবজি খিচুড়ি দেওয়া যেতে পারে। খাবার গ্রহণের পর শিক্ষার্থীরা লোখাপড়ায় মনযোগী হয়ে উঠবে। ফলে বিদ্যালয় হতে পালানোর প্রবণতা কমবে এবং স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষকরা বর্তমানে মিড-ডে মিল এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যেক অভিভাবক অবশ্যই তার সন্তানদের খাদ্যের বিষয় সচেতন এবং সতর্ক হতে হবে। ভবিষ্যতে এটি প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সমাজপতিরা দানের তাৎক্ষণিক প্রতিদান চায়। ছোটদের জন্য খরচ করলে তাৎক্ষণিক প্রতিদান পাওয়া যায় না বলেই মিড ডে মিলে সমাজপতিদের সম্পৃক্ত করা যাচ্ছে না। 

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত দুপুরের খাবার খেলে দেহে পুষ্টি থাকে। অন্যথায় শরীরে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। যেভাবেই হোক কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের মিড ডে মিল চালু করলে শারিরীক ও মানসিক দুই দিকে উপকার হবে। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ মিড ডে মিলের বিষয়টি ভেবে দেখা প্রয়োজন’।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল