রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব,অবিশ্বাস আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি

বুধবার, আগস্ট ৩১, ২০২২
নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব,অবিশ্বাস আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি

সময় জার্নাল ডেস্ক: আজ ১ সেপ্টেম্বর। বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরে কয়েক দফায় রাষ্ট্রক্ষমতায়ও গিয়েছে দলটি। কিন্তু বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের একে অপরের প্রতি তৈরি হওয়া অনাস্থা, দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাস গত ১৬ বছরেও কাটিয়ে উঠতে পারে বিএনপি। এখনো দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির মধ্যে রয়েছে একাধিক বিভাজন। প্রায় সময় বৈঠকে একে অপরের সঙ্গে জড়ান তর্ক-বিতর্কে। করেন ব্যক্তিগত আক্রমণও।


বিএনপির নেতারা বলছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব ও একজনকে ল্যাং মেরে আরেকজনের ওপরে উঠার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল তা এখনো দূর হয়নি। এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে যে, বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের কাউন্সিল বা পদ-পদবি পাওয়ার সময় হলে একে অপরকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তার বা আটক করিয়ে দেওয়া হয়।’



দলটির নেতারা আরও বলছেন, ‘ওয়ান-ইলেভনের সময় কোমর ভেঙে যাওয়া বিএনপি এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। খালেদা জিয়া রাজনীতিতে থাকতে দল এক নীতিতে চলছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে তিনি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে যখন নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসেছেন তখন দল আরেক ধারায় পরিচালিত হয়ে আসছে। ফলে, শুধু দলের শীর্ষ পর্যায়ে নয়, তৃণমূল সংগঠনেও ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হয়ে যায়। এ কারণে বিগত কয়েক বছরে অনেক নেতা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন।’


বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা এখন তিন ধারায় বিভক্ত। একটি অংশে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তাদের সঙ্গে অনেকটা তাল মিলিয়ে চলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আরেক অংশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আর ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান যখন যে দিকে বাতাস, সে দিকেই তাল মেলান। আরেক সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কিছুটা মহাসচিব ঘেঁষা


‘আবার অনেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় পদাবনতি ও নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্বের কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে পদত্যাগ করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। শুধু তাই নয়, একই কারণে খুলনার জনপ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এহসানুল হক মিলনের বিএনপিতে কোনো অবস্থান নেই।’


বিএনপির নেতারা আরও বলেন, ‘শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বর্তমানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে রাজনীতির বাইরে। আর বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে নির্বাসিত আছেন ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান। তাদের দুজনের সঙ্গে সমন্বয় করে করে দল পরিচালনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু মহাসচিবের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই স্থায়ী কমিটির সদস্যদের। বিভিন্ন সময় মহাসচিবের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দ্বন্দ্ব-বিভেদের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।’


এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে যে, বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের কাউন্সিল বা পদ-পদবির পাওয়ার সময় হলে একে অপরকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তার বা আটক করিয়ে দেওয়া হয়।


‘২০১৯ সালে জুনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে দলের এমপিদের শপথ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ওই বৈঠকে আগে কে কোন দল করেছেন, কে কার ব্যাগ টেনেছেন এসব বিষয় পর্যন্ত উঠে আসে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় দলের স্থায়ী কমিটিতে নানা বিষয়ে মতভেদ, বিরোধ দেখা গেছে। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্রের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে।’


বিএনপি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্রের জন্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর লক্ষ্য ও শপথ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপি


বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সূত্র জানান, গত ৮ আগস্ট নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব তার বক্তব্যে- জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় দলীয় দুই নেতাকে ‘গুলি করে হত্যার’ প্রতিবাদে দুই দিনের ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’র কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু তার বক্তব্যের আগেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তাদের বক্তব্যে বলেন- ‘রাস্তায় সমাবেশ করে হবে না, সরকার পতন করতে হলে হরতাল-অবরোধে যেতে হবে।’ তাদের এ বক্তব্যের পরে আন্দোলনের কর্মসূচির ধরন নিয়ে ‘বিএনপি নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ-দ্বন্দ্ব’- এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যা নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ দেখা দেয়।



পরে ১৫ আগস্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কেন মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন- তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান মির্জা ফখরুল। এভাবে চলতে থাকলে তিনি মহাসচিব পদ থেকেও সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তাদের এ ধরনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান। তার বক্তব্যের পরে বৈঠকের পরিবেশ কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠে।


সূত্র আরও জানায়, এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে আগামীতে সমাবেশে কী ধরনের বক্তব্য দেব তা মহাসচিব লিখে দেবেন, আমি শুধু পড়ে চলে আসব।’ আর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিষয়টি তো মিটিংয়ের এজেন্ডায় ছিল না। তাহলে কীভাবে আলোচনা এলো, সেই প্রশ্ন আসে। বিএনপিতে মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্রের ডেডিকেশন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আমিও জানতে চাই মহাসচিবের কী ডেডিকেশন আছে বিএনপিতে।’ যদিও এ সময় উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যেখানে বিএনপিকে সব কিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার, সেখানে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন দলের নেতারা।


এক-এগারোর প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওই সময় অনেকে দলের বিরুদ্ধে গেছেন। কিন্তু এখন দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। বড় দল হিসেবে ভিন্ন মতামত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক


সেলিমা রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এক-এগারোর সময় তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব দলের সঙ্গে বেঈমানি করে সেই সরকারের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু এক-এগারোর পরে দলে কোনো বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি না। আর দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাস আছে বলেও আমার জানা নেই। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা একে অপরকে আক্রমণ করে কথা বলা বা অন্য কিছু হয়েছে কি-না সেটাও আমার জানা নেই।’


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এক-এগারোর প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওই সময় অনেকে দলের বিরুদ্ধে গেছেন। সেটা সেই সময়ের বাস্তবতা ছিল। কিন্তু এখন দলের নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। বড় দল হিসেবে ভিন্ন মতামত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।’


দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস ও একে-অপরকে আক্রমণ করে কথা বলার বিষয়ে জানতে চাইলে সেলিমা রহমান বলেন, ‘এটা ঠিক না, স্থায়ী কমিটির মধ্যে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে না। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন মতামত আসে। সেগুলো নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই আমাদের মধ্যে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দল সঠিকভাবেই চলছে। তবে, আমাদের একটাই দুঃখ, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গৃহবন্দী হয়ে আছেন।’


এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য, দেশে গণতন্ত্র ‍ফিরিয়ে আনা, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও একটা অর্থনৈতিক সাম্য আনা

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির নেতারা এখন তিন ধারায় বিভক্ত। একটি অংশে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তাদের সঙ্গে অনেকটা তাল মিলিয়ে চলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আরেক অংশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আর ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান যখন যে দিকে বাতাস, সেই দিকেই তাল মেলান। আরেক সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কিছুটা মহাসচিব ঘেঁষা।’


এই নেতা আরও বলেন, ‘শুধু স্থায়ী কমিটি নয়, পুরো বিএনপি এখন কয়েকটি ধারায় বিভক্ত। এরমধ্যে কেউ সরাসরি তারেক রহমানকে মেইনটেইন করে রাজনীতি করেন। আবার কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে মেইনটেইন করেন। আরেক অংশ দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে মেইনটেইন করে রাজনীতি করছেন। যারা এই তিন গ্রুপের কাউকে মেইনটেইন করতে পারছে না, তারা দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।’


১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার’ লক্ষে বিএনপি গঠন করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন ও ছেলে তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।


পুরো বিএনপি এখন কয়েকটা ধারায় বিভক্ত। এরমধ্যে কেউ সরাসরি তারেক রহমানকে মেইনটেইন করে রাজনীতি করেন। আবার কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে মেইনটেইন করেন। আরেকটি অংশ দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে মেইনটেইন করে রাজনীতি করছেন

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন। দুপুর ১২টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।


এ বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলীয় পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।


স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য, দেশে গণতন্ত্র ‍ফিরিয়ে আনা, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও একটা অর্থনৈতিক সাম্য আনা। আমরা আশাবাদী তা করতে পারব।’


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিএনপি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্রের জন্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি আমরা। এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর লক্ষ্য ও শপথ।’


এসএম


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল