মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুহাম্মদ শামসুল হুদা মামুন (৩১) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যাচার ছাড়ানোর অভিযোগে আপন ভাতিজার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী চাচা ।
শুক্রবার ( ২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ শামসুল ইমলাম মামুন, উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ান আলী পাটোয়ারী বাড়ির মো.মকবুল আহমদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দলিল লিখক। অপরদিকে, তার আপন ভাতিজা নাজমুল হুদা বিজয় (২০)। গত বুধবার (৩১ আগস্ট) তার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচার ছবিসহ তার বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়। ওই ফেসবুক পোস্টে বিজয় তার চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন, তার চাচা তার দাদাকে দীর্ঘদিন ঘরে আটক রেখে দাদার থেকে সম্পূর্ণ সম্পত্তি লিখে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ শামসুল হুদা মামুন বলেন,তার ভাতিজার এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ অন্যায় এবং মিথ্যাচার। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, তার বাবার মালিকীয় জায়গার পরিমান ৭৮৩ শতাংশ। তার দুই ভাই ৪ বোন। উক্ত জায়গা থেকে তার বড় ভাই নুরুল হুদা দুলাল তাকে না জানিয়ে ৭৮৩ শতাংশ জমি থেকে ২০১০ সালে ২১নং অছিয়ত নামা দলিলের মাধ্যমে বাবার থেকে ৭০৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করেন। ওই দলিলের লেখক ছিলেন আমার ভাইয়ের শ্বশুর আবুল খায়ের আমিন। যার মাধ্যমে আমার চার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়। পুনরায় আমার বোনদেরকে সম্পত্তি দেওয়ার কথা বলে বড় তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি সৌদি চলে যান।
পরবর্তীতে বড় ভাইয়ের থেকে কোন সমাধান না পেয়ে বাবা আমাদের পাঁচ বোনকে নার্য্য পাওনা সম্পত্তি একত্রে রেজিস্ট্রে করে দেন। এখনো বাবার কাছে ৩৭০শতাংশ ভূমি অবশিষ্ট আছে। বাবা সেই তহবিল থেকে আমার ভাই নুরুল হুদা দুলালের বৈঠকের সিন্ধান্ত অনুযায়ী তার মালিকীয় ১৯৯ শতাংশ ভূমি যে কোন সময় বাবার থেকে দলিল দ্বারা রেজিস্ট্রি করে নিতে পারবে। তাতে তাদের কোন আপত্তি থাকবেনা। তারপরও বাবার তহবিলে আরও ১৭১ শতাংশ ভূমি থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর বোন, হাসিনা আক্তার, বিবি নূর জাহান, রোকেয়া বেগম, পারভীন আক্তারসহ তাদের স্বামীরা প্রমূখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাজমুল হুদা বিজয় দাবি করেন, আমি যে সব অভিযোগ করেছি একটিও মিথ্যা নয়। আমার কাকা তার বোনদের যোগসাজশে দাদার থেকে সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। দাদা সব জায়গায় স্বাক্ষর করে তবে ওই দলিলে দাদার টিপ সই কেন থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) গনেশ মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গতকাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর