জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেতসহ নানান শাকসবজির জমি। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
স্থানীয়রা জানান, পানি আরও বাড়তে থাকলে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। আবার হঠাৎ পানি নেমে গেলেও ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগামী দুই দিনে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, “তিস্তার পানি কখন বাড়ে কখন কমে কিছুই বোঝা যায় না। এ বছর হঠাৎ পানির তোড়ে আমার দুই একর জমির আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।” একই দুঃখের কথা জানান ওই এলাকার কৃষক জলিল উদ্দিন ও আউয়াল মণ্ডল।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, “আগামী দুইদিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে জেলার নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।”
পানিবন্দি হয়ে পড়ছে গ্রামের মানুষ, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকরা। স্থানীয়দের দাবি, এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণসহায়তা ও ফসল রক্ষায় জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।
এমআই