আজাহারুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিতকরণ এবং সম্প্রতি গোপনে এক ছাত্রীর ভিডিও ধারণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা। মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
এতে জুম্ম ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি বিশাল চাকমার সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মিলন জ্যোতি চাকমার সঞ্চালনায় সমিতির অন্য আদিবাসী ও সমতল আদিবাসী শিক্ষার্থীরাসহ ইবি ছাত্র ইউনিয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান সুইট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য মুস্তাসিম যুবায়ের ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এর আগে ৩১ আগস্ট একই দাবিতে শাখা ছাত্রলীগ, শাখা ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এসব কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, ২৯ আগস্ট ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় এক ছাত্রীর গোসলের গোপন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় যুবক সাগরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরদিন ৩০ আগস্ট নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ ও শৈলকুপা থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগী। একইদিন রাতে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। পরে ৩১ আগস্ট প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সাগর বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৮ ধারার ১ ও ২ উপধারায় মামলা দিয়ে ঝিনাইদহ আমলি আদালতে পাঠানো হয়ে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ভুক্তোভোগী ছাত্রীকে ইতিমধ্যে হলে আবাসন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত আসামীকে আটক করা হয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার।
উল্লেখ্য, স্থানীয়দের দ্বারা বিভিন্ন সময়ে ছাত্রী মেসে ও ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের উত্তক্তকরণ, বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা ও যৌন হয়রানি, স্থানীয়দের দ্বারা ক্যাম্পাসে ও বাইরের মেসগুলোতে শিক্ষার্থীদের মারধর ও হামলা, চুরি-ছিনতাই, ছাত্রী হলে অপরিচিত পুরুষের অনুপ্রবেশ, সাইবার বুলিং সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এমআই