আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন, তা আজ (৫ সেপ্টেম্বর) জানা যাবে। তবে বরিস জনসনের পর ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসই নির্বাচিত হতে চলেছেন, এমনটা ধরে নিয়েই পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করতে চলেছে কনজারভেটিভ পার্টি।
জানা গেছে, নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ে লিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক এগিয়ে গেলেও শেষ হাসি হাসতে চলেছেন বরিসজনসনের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসই।
ব্রিটেন এমনিতেই নানা অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দেশটির জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তাছাড়া একাধিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়ে পদ ছাড়তে কার্যত বাধ্য হন বরিস জনসন। ব্রিটেনের পরবর্তী নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে ফের ক্ষমতায় নিয়ে আসা লিজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করছে তার দলেরই একাংশ। দলের ভেতরের নানা উপগোষ্ঠীর বিরোধকে সামাল দিতে হবে তাকে।
কনজারভেটিভ পার্টির বরিস-বিরোধী একটা অংশ আশঙ্কা করছে, লিজ জনসন-ঘনিষ্ঠ নেতা ও দলের উগ্র দক্ষিণপন্থীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন। এর মাধ্যমে দলের মধ্যপন্থী অংশটিকে কোণঠাসা করা হতে পারে বলে এই অংশটির আশঙ্কা। তাদের মধ্যে দু’টি নাম নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে বরিসবিরোধী অংশটি। তারা হলেন জন রেডউড এবং ডানকান স্মিথ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কনজারভেটিভ পার্টির এক বরিসবিরোধী নেতা জানান, ডানকান আর রেডউডকে সরকারের শীর্ষমহলে বসালে তা দল ও সরকারের জন্য ভালো হবে না। জনসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে যে সংসদীয় তদন্ত চলছে, তা-ও এই দু’জন প্রভাবিত করতে পারেন বলে মত এই নেতা।
সময় জার্নাল/এলআর