নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গারা চরম অনিশ্চিয়তায় দিন কাটাচ্ছে। দু’দিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে থেমে থেমে ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ ভেসে আসছে উখিয়ার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন তুমব্রু সীমান্তে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সীমান্তের ওপারে দু’দিন ফায়ারিং বন্ধ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে থেমে থেমে গুলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। তবে আগের মতো সীমান্তের আকাশে কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধ বিমান উড়তে দেখা যায়নি।
স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান নুরুল আবছার জানান, গত ৩ আগস্ট সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিলেন তারা। ওইদিন বাইশারী সীমান্তে দুটি মর্টারশেলও পড়েছিল। এরপর দু’দিন বন্ধ থাকায় সীমান্তের মানুষ কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল। এখন আবারো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা সানজিদা ও মায়েশা বলেন, আমরা জিরো পয়েন্টে সব সময় আতঙ্কে থাকি। প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২৮ আগস্ট পর পর দুটি মর্টারশেল এসে পড়েছিল বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর আরো দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের বাইশারী এলাকায় পড়ে।
এ ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে উখিয়া-টেকনাফে থাকা ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
ক্যাম্প-১১’র বাসিন্দা জিয়াবুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ বৌদ্ধরা অত্যন্ত নির্মম ও নির্দয়। এরা মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট আমাদের দেশ ছাড়া করেছে। জন্মভূমির মায়া প্রতিটি মানুষের থাকে। আমাদের সেই স্মৃতিময় দেশটিতে যেন ফিরে যেতে না পারি সেজন্য তারা তালবাহানা শুরু করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর