ওয়াজেদুল হক, মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনীতে উর্মি খাতুন (২৩) নামের একব গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী বিরুদ্ধে। বৃহম্পতিবার দিবাগত মধ্যে রাতে গাংনী শহরের কাথুলী মোড়ের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আশরাফুজ্জামান প্রিন্স পলাতক রয়েছে। প্রিন্স গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। নিহত উর্মি খাতুন একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে।
উর্মি খাতুনের বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ৪ বছর আগে তার মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে আশরাফুজ্জামান প্রিন্স। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে উর্মিকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে আশরাফুজ্জামান প্রিন্স উর্মিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গ্রীলের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার মেয়ের মরদেহ দেখতে পাই। তার শরীরের বিভিন্ন স্থনে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। তার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে বিচার প্রার্থনা করেন তিনি। তাদের ৬ মাস বয়সের একটি সন্তান রয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ইমদাদুল হক জানান, উর্মি খাতুনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আশরাফুজ্জামান প্রিন্স পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ গাংনী থানায় রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এমআই