অনুপম মল্লিক আদিত্য, জবি প্রতিনিধি:
উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষকে হুমকির প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচিতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। অথচ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের ভাষ্যমতে উনাদেরকে শাহিন চেয়ারম্যান বা তার পক্ষে কারো দ্বারা কোনরুপ হুমকি দেওয়া হয়নি।
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবিয়ান'স নামক একটি ফেসবুক পেজের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উস্কানি দিয়ে আসছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তারা নতুন ক্যাম্পাসের কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষকে হুমকির প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনকে গ্রেপ্তারসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে শাহিন চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যু তৈরি করে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। আর এই কাজে আড়াল থেকে সাপোর্ট দিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিক্রিয়াশীল মহল।
কিন্তু মানববন্ধনের মূল বিষয়বস্তু উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি হলেও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমার সাথে শাহিন চেয়ারম্যান নামে কারোর কোন যোগাযোগ হয়নি। ঐ যে একটা কথা আছেনা 'কান নিয়ে গেল চিলে' আমি তো আর চিলের পেছনে দৌড়াই না। যেখানে এ বিষয়ে আমার কারও সাথে কোন কথাই হয়নি সেখানে হুমকি কোথা থেকে আসবে।
শাহিন চেয়ারম্যান কর্তৃক হুমকি অস্বীকার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাকে এ বিষয়ে শাহিন চেয়ারম্যান বা তার হয়ে কেউ কোন হুমকি দেয় নি, এটা নিয়ে কেন মিথ্যে কথা বলবো? যারা গুজব রটাচ্ছে যে, ভিসি-ট্রেজারারকে হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করো, তাদের উদ্দেশ্য কি তা তাদের কাছ থেকে জানো।
এদিকে নতুন ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে কোষাধ্যক্ষ বলেন, খুব শীঘ্রই জবি প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কথা বলবে এবং সেনাবাহিনীকে কাজে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কথা বলা হবে।
এমআই