নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ অর্জন করেছেন নন্দন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রাজু আহমেদ।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যুব সমাজ মানুষের সেবক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে, নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করবে এবং পরিবারকে সহায়তা করবে। আজকের যুব সমাজ ২০৪১ সালে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কারিগর। তিনি বলেন, যুব সমাজ দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ, দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলে এই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায়, আমরা সেই পথে এগিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ১২ জনকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা এবং সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে ‘দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতা’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান রাজু আহমেদ। তিনি নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নন্দন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা করেন।
রাজু আহমেদ বলেন, দেশের সংকটময় মুহুর্ত করোনা মহামারীর শুরু থেকে সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। মরণভয়কে ছাপিয়ে করোনায় মানবতার সেবায় মগ্ন ছিলাম। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু উন্নয়ন, পরিবেশসহ বিভিন্নখাতে কাজ করেছি। কাজের স্বীকৃতি সবসময় কাজের উদ্যম বাড়িয়ে দেয়, সেই স্বীকৃতির যখন দেশ সেবার জন্য হয় তখন দ্বিগুণ উদ্যমে অনুপ্রাণিত হই। যারা সবসময় পাশে ছিলেন এই সম্মাননা তাদের জন্য উৎসর্গ করলাম।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত অন্যরা হলেন, যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ক্যাটাগরিতে অসাধারণ অবদানের জন্য, শরীয়তপুরের বাসিন্দা মাসুম আলম এবং নেত্রকোণার বাসিন্দা কামরুন নাহার লিপি। শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্যাটাগরিতে অসাধারণ অবদানের জন্য জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ দ্রুব এবং পেন ফাউন্ডেশনের মেঘনা খাতুন।
দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাঙ্গামাটির বাসিন্দা এন কে এম মুন্না তালুকদার। জ্যেষ্ঠদের প্রতি আদর্শ সেবা বা সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য বরিশালের বাসিন্দা মিল্টন সমাদ্দার এবং সুনামগঞ্জের বাসিন্দা কাস্মিরুল হক। আর ক্রীড়া, কলা (চারু ও কারু) ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শেরপুরের মেয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং রাজশাহীর বাসিন্দা মোস্তফা সরকার সম্মাননা পেয়েছেন।
সময় জার্নাল/এলআর