নিজস্ব প্রতিনিধি:
দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা হিসেবে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সংগ্রহ করবে। সাথে সরকারের আড়াই টাকা প্রণোদনা যোগ হলে রেমিট্যান্সে মিলবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা দেয়া হবে। আমদানি এলসি নিষ্পত্তি হবে রফতানির রেটের চেয়ে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশি।
রোববার সোনালী ব্যাংকের বোর্ড রুমে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো: আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম বলেন, বাফেদা ও এবিবি যৌথভাবে এ বৈঠক করেছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য দেশের সবগুলো ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জ রেট যেন এক হয়। ডলারের সঙ্কট ও বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এখানে বাফেদা ও এবিবির সব সদস্য একমত হয়েছি যে এখন প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ ডলার রেট হবে ১০৮ টাকা। বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রফতানি বিলের ক্ষেত্রে রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ টাকা। এটা ফিক্সড। এ রেট আগামীকাল থেকে সবাই কার্যকর করবে।
তবে রেট কিছু দিন পরপর পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন এবিবি ও বাফেদার নেতারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই রেট পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিয়মিত ব্যাংকগুলোর সাথে তথ্য উপাত্ত বিনিময় করবে।
সময় জার্নাল/এলআর