শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিন আজ

সময় জার্নাল ডেস্ক:

বহুভাষাবিদ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিন আজ। ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রম্যরচয়িতা ও নানামুখি অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ একজন সাহিত্যিক। 

সৈয়দ মুজতবা আলী ছদ্মনামে লিখতেন – সত্যপীর, ওমর খৈয়ম, টেকচাঁদ, প্রিয়দর্শী প্রভৃতি নামে । ভ্রমণ কাহিনী রচনার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন । কাজী নজরুল ইসলামের পর বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করেন – সৈয়দ মুজতবা আলী ।

বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলী। পিতার বদলীর চাকরি হওয়ায় মুজতবা আলীর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রথম দিকের ছাত্র। সেখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, হিন্দি, গুজরাটি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইটালিয়ান ভাষাশিক্ষা লাভ করেন। ১৯২৬ সালে এখানেই তিনি বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। দর্শনশাস্ত্র পড়ার জন্য বৃত্তি নিয়ে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণার জন্য তিনি পিএইচ ডি লাভ করেন ১৯৩২ সালে।

পড়াশেষ করে কর্মজীবনে সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত কাবুলের একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। সেখানে তিনি ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৩৫ সালে বরোদার মহারাজার আমন্ত্রণে তিনি বরোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দান করে প্রায় আট বছর কাটান। এর পর দিল্লির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। পরবর্তী সময় তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বগুড়ার আযীযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেন।

পঞ্চাশের দশকে তিনি কিছু দিন আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে যান। বিশ্বভারতীর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। 

সৈয়দ মুজতবা আলী পরিণত বয়সে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ‘দেশে বিদেশে’ প্রকাশনার মধ্য দিয়েই তিনি বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে জায়াগা করে নেন।  শান্তিনিকেতনে অধ্যায়নরত অবস্থায় বিশ্বভারতী নামের হস্তলিখিত ম্যাগাজিনে মুজতবা আলী লিখতেন। তখন বিপুল সম্ভাবনার ইঙ্গিত হস্তলিখিত পত্রিকায় প্রকাশিত রচনায় রবীন্দ্রনাথ দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।

তার বহুদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন ভ্রমণকাহিনী। এ ছাড়া লিখেছেন ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা। ১৯৪৯ সালে তিনি নরসিং দাস পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৬১ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।
তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো দেশে-বিদেশে (১৯৪৯), জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০); উপন্যাস: অবিশ্বাস্য (১৯৫৪), শবনম (১৯৬০), শহরইয়ার (১৯৬৯);  চাচা কাহিনী (১৯৫২), টুনি মেম (১৯৬৪); পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২), ময়ূরকণ্ঠী (১৯৫২)।
১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মুজতবা আলী মৃত্যুবরণ করেন।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল