স্পোর্টস ডেস্ক:
স্বীকৃত সব প্রতিযোগিতায় গোলের দেখা পেলেও ইউরোপা লিগে এর আগে কখনো জাল খুঁজে পাননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অবশেষে সেই প্রথমের দেখা পেলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
সেই সঙ্গে এই মৌসুমে গোলখরাও ঘুচল তার। আর তার গোলে ফেরার ম্যাচে সহজ জয় পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আজ আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেরিফ তিরাসপোলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে এরিন টেন হাগের দল। তিরাসপোলের মাঠে সাঞ্চোর গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো।
এর আগে গ্রুপ 'ই'-তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হারে ইউনাইটেড। ২০ বছর পর ওই ম্যাচ দিয়ে ইউরোপায় ফিরেছিলেন রোনালদো। কিন্তু কোনো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন তিনি। আজ অবশ্য সুযোগ পেয়ে ভুল করেননি। তাকে সরাসরি মূল স্ট্রাইকার বা নম্বর নাইন হিসেবে খেলান টেন হাগ। ম্যাচে নতুন পজিশনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাওয়াতে দেখা গেছে তাকে।
প্রথম মলদোভান ক্লাব হিসেবে এর আগে (২০২১ সালে) চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা শেরিফ তিরাসপোল এবার ইউরোপা খেলছে। যদিও মলদোভার মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করা ট্রান্সনিসত্রিয়ার প্রধান শহর তিরাসপোলের ক্লাব এটি। অবশ্য বাকি বিশ্ব ট্রান্সনিসত্রিয়াকে মলদোভারই অংশ মনে করে। এহেন ক্লাবের বিপক্ষে অবশ্য পা হড়কায়নি ইউনাইটেড। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কিছু প্রচেষ্টা দেখা গেছে শেরিফের খেলোয়াড়দের মধ্যে। কিন্তু কার্যত তারা ইউনাইটেডের গোলরক্ষক দাভিদ দে গিয়াকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটেই দলীয় প্রচেষ্টায় এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের রিভার্স পাসে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন জ্যাডন সাঞ্চো। এদিন ইংল্যান্ডের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার দুঃসংবাদ সাথে নিয়েই মাঠে নামেন এই ফরোয়ার্ড। প্রথম গোল পাওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার সুযোগ এসেছিল তার সামনে। কিন্তু এবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে বাধা পায় তার শট।
বিরতির আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। দিয়োগো দালত প্রতিপক্ষের বক্সে ফাউলের শিকার হলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে দারুণ দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। এরপর ক্লাব ক্যারিয়ারের ৮০০তম গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কাছ থেকে নেওয়া তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ইউনাইটেডের আক্রমণের ধারও এরপর কিছুটা কমে আসে। আর তিরাসপোলের অগোছালো সব আক্রমণ কোনো কাজেই আসেনি।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে ওমোনিয়া নিকোশিয়াকে ১-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। টানা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপের শীর্ষে আছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। অন্যদিকে ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রেড ডেভিলরা। তিনে শেরিফ এবং চারে ওমোনিয়া।
এমআই