মো: রাকিব হেসেন, বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অপর একজন হলেন একই এলাকার নিজাম খানের ছেলে আরিফ (২০)।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মারা যাওয়া ও আহত সবাই একই পরিবারের সদস্য।
মারা যাওয়া তিন জন হলেন,একই এলাকার শাহজান পহলানের ছেলে বেলায়েত পহলান (২৫), হারুন হাজীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হেলাল (৩৫) এবং জলিল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৪)।
স্থানীয়রাও হতাহতদের স্বজনরা জানান, নতুন ঘর তোলার জন্য পুরোনো ঘর ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। এই সময় ঘরের চালের একটি টিন গিয়ে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। এই সময় টিনটি ধরে থাকা অবস্থায় রবিউল, হেলাল ও বেলায়েত হোসেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের বাঁচাতে গেলে আরিফ হোসেনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
তাৎক্ষণিক স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় চার জনকে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই, তিন জন মারা গেছে।
এ ছাড়াও একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, নতুন ঘড় ওঠানোর জন্য পুরনো টিনগুলো নামাতে গিয়ে তিন জনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এই তিনজনই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। খবর শোনার পর থেকে বরগুনার জেলা প্রসাশক সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পরিবার তিনটির সাহায্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সবসময় পাশে থাকবে।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান বলেন, সদর থানার ওসিকে নিয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি একটি দুর্ঘটনা। পরিবারেরও কোনো অভিযোগ নেই। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এমআই