মোঃ সাইফুল ইসলাম : লেখক মূলত সবার জীবনে আসা প্রথম প্রেম নিয়ে লিখেছেন এবং সে পাঠ্য বইয়ের সাথে তুলনা করে বললো মানুষ যেমন পাঠ্য বই পড়ে এবং শিক্ষা অর্জন করে চলে তেমনি প্রথম প্রেম মানুষের জীবনে আসলে তা স্মৃতির পাতায় প্রথম হয়ে থাকে এবং তা কখনো ভোলা যায় না। এছাড়াও লেখক সেই দূরন্তপানা টকবগে একটি দুষ্টু মেয়ের ভালো লাগা, ছোটাছুটি, নৌকা, বৃষ্টি বিলাস নিয়ে লিখেছেন। প্রথম দেখা ছেলেটিকে ভালোবাসা সত্ত্বেও ভুল মানুষের সাথে আবেগ অনুভূতি শেয়ার করা।
মেয়েটির নাম নিরু সে প্রথম দেখে গাড়ি থেকে নেমা আসা একজন সূদর্শন ছেলেকে এবং নাম জানা হয়নি তার কিন্তু ভালো লাগা কাজ করে এবং ভালোবেসে ফেলে। অন্যদিকে নিরুকে ঐ একেই গাড়িতে থাকা সূদর্শন ছেলেটির অন্য বন্ধু প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলে। শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক। কিন্তু কোনদিন সামনা-সামনি দেখা হয় না কারোই। এর ভিতর নিরু তার বান্ধুবীদের সাথে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং সেখানে স্বাক্ষাত হয় সকালের সাথে। সকালের মা সকালকে জন্ম দিয়েই মারা যায় তারপর সকাল তার খালামনির কাছে মানুষ হয়। এই খালামনি আবার ভালোবাসতো সকালের বাবাকে কিন্তু সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় সকালের মায়ের সাথে। এখানেও প্রথম প্রেম ব্যার্থ এবং এক সময় ব্যার্থতা নিয়েই মারা যায় সকালের খালামনি।
সকাল আর তাসিনের ৯ বছরের সম্পর্কে ছিলো কিন্তু তা বন্ধত্ব নামে, কিন্তু দুজন-দুজনকে প্রচান্ড ভালোবাসতো। কিন্তু যখনি সকাল তাসিনকে কাছে আপন করে চায় তখন তাসিন দূর হয়ে যায়। এক সময় তাসিনকে সকাল বলে তোমাকে খালামনি যে শাড়িটা দিয়েছে এটা আব্বু খালামনিকে দিয়েছিলো এবং খালামনি স্বপ্ন দেখছিলো আব্বুকে বিয়ে করবে এই শাড়ি পড়ে সামনে যাবে কিন্তু খালামনি আব্বুকে বিয়ে করার কথা বলার পর আব্বু বিদেশ চলে যায় আর ফিরে আসে না। সুতরাং তাসিন তোমাকে খালামনি পছন্দ করেছে এবং আমি তোমাকে এই শাড়ি পড়িয়ে বউ করে নিব।
কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাস তাসিনকেও সকাল পায় না। কারন তাসিন সকালকে ভালোবাসা সত্ত্বেও দ্বিধায় ছিলো। অন্যদিকে সকালের খালামনি নিরুকে সকালের মায়ের বিয়ের শাড়ি জন্মদিনে উপহার দেয়। নিরু একদিন রাতে সকালকে জড়িয়ে ধরে কিন্তু নিরু ভালোবাসে আরাফকে তাই লজ্জায় ঐদিন সকাল সকাল নিরু ঢাকা চলে আসার সিধান্ত নেয়।
নিরু প্রথম দেখা আরাফকে ভালোবাসালেও বিপরীত দিকে ছিলো আরাফ নামে অন্য পুরুষ যাকে নিরু জীবনে কোনদিন দেখেওনি কিন্তু নিরুকে আরাফ নামে অন্য ছেলেটি দূর থেকে দেখেছে। এক সময় নিরু এবং আরাফ নামে ছেলেটি পালিয়ে বিয়ে করার জন্য কাজী অফিসে যায়, আরাফের জন্য অপেক্ষা করে তবে আরাফ আর সামনে আসে না। কিন্তু দূর থেকে বধু সাঁজে নিরুকে দেখে সাহস পায়নি আসার। কিছু সময় পর মেসেজ দিয়ে বলে নিরু আমি আসলে আরাফ না তুমি যাকে ভালোবাসালা সেই নামে আমি অন্য এক পুরুষ। এটা বলেই আইডি বন্ধ করে এবং সকল যোগাযোগ বন্ধ করেয় দেয়।
এ যেনো নিরুর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো কিন্তু আরাফ নামে সেই ছেলে চিন্তা করলো এত বছর মিথ্যা দিয়ে শুরু করা প্রেম করে নিরুকে ঠকানো ঠিক হবে না এই ভেবেই আরাফ আর নিরুর কাছে আসে না। এভাবেই প্রথম প্রেম হারিয়ে যায় অন্যদিকে সকালও তাসিনকে পায় না কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ঘটনা চক্রে সকালকে নিরু ভালোবাসে এবং শেষে নিরুও প্রথম প্রেমে ব্যর্থ হত। অন্যদিকে সকালও প্রথম প্রেমে ব্যর্থ হয় কিন্তু তাদের জীবনের প্রথম প্রেম বসন্তের মত জীবনের পাতায় দাগকেটে আছে যা সবগুলে প্রেমিক প্রেমিকার হৃদয়ে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে..... ।
লেখক : শিক্ষার্থী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শুদ্ধস্বর কবিতা মঞ্চ তিতুমীর কলেজ।