আজাহারুর ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলে নতুন নতুন পাঁচটি গাড়ি যুক্ত হয়েছে। গাড়িগুলোর মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৫২ আসন বিশিষ্ট ৩টি বাস এবং ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা কোম্পানির দুইটি শিতাতাপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাস। পরিবহন দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ও ইউজিসির বরাদ্দে এই ৫টি গাড়ি কেনা হয়েছে। তিনটি বাসের মধ্যে কমপক্ষে দুইটি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। বাকি দুইটি মাইক্রোবাস দাফতরিক কাজে ব্যবহার করা হবে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ক্যাম্পাসের প্রশাসনের ভবনের উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় গাড়ি ক্রয় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন, পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন দফতরের তথ্য মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বহন করার জন্য মোট বাস আছে ৫৩টি। এর মধ্যে নিজস্ব বাস মাত্র ২১টি। যার ১৯টিই শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ও দুইটি শিক্ষার্থীদেও (একটি শুধু ছাত্রীদের) জন্য বরাদ্দকৃত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ শতাংশই ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করেন। যার সিংহভাগ কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরে থাকেন। ক্লাস-পরীক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত তারা ২৩/২৪ কিলোমিটার যাতায়াত করেন। যাদের একমাত্র ভরসা বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ^বিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসগুলো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে আমাদের ভাড়া করা বাস দেওয়া হয়। ভাড়া করা বাসগুলোর অধিকাংশ ফিটনেসবিহীন। অনেক সময় তারা বাইরের যাত্রী তোলার কারণে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ভাড়া বাসগুলো চেনার জন্য কোনো প্রতিক বা বিশ^বিদ্যালয়ের মনোগ্রাম নেই। ফলে অনেকসময় লাইনের বাস হিসেবে আমাদের থেকেও ভাড়া আদায় করে। তাই নিজস্ব বাস বরাদ্দ আরো বাড়ানো ও ভাড়া বাসগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও মনোগ্রাম সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, অতি শীঘ্রই আরো একটি বাস পুলে সংযুক্ত হবে। তিনটি বাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য কমপক্ষে দুইটি ব্যবহার হবে। তবে কোন রুটে কোনটি চলবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি জেলা শহর থেকে দূরে হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাওয়া আসায় ভোগান্তি হয়। পাঁচটি গাড়িতে সংকট না কাটিয়ে উঠতে পারলেও কিছুটা কমবে বলে আশা করি।
সময় জার্নাল/এলআর