শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সাগরের মাছ ধরার কোটা নির্ধারণ করবে সরকার

রোববার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
সাগরের মাছ ধরার কোটা নির্ধারণ করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাগর থেকে মাছ আহরণে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী, নৌযানগুলোকে সাগর থেকে মাছ ধরার কোটা নির্ধারণ করে দেবে সরকার। একই সঙ্গে মাছের প্রাপ্যতা ও চাহিদা বিবেচনা করে প্রতি বছর কতটুকু মাছ ধরা যাবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা, ২০২২’ জারি করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মৎস্য অনুবিভাগ) মো. আব্দুল কাইয়ূম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে নীতিমালাটি করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় কাজ করবে। নীতিমালাটি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে আরও শৃঙ্খলা আনবে।’

নীতিমালায় ‘দায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ-পদ্ধতি প্রবর্তন’এর বিষয়ে বলা হয়েছে, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে দেশের জনগণের পুষ্টি, অর্থনৈতিক, সমাজিক ও পরিবেশগত মাত্রা সন্নিবেশিত। কাজেই মৎস্য আহরণ ও এতৎসংশ্লিষ্ট বিষয়াদিসহ আহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবী ও নৌশ্রমিক কল্যাণও বিবেচনা করা প্রয়োজন। টেকসই মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থা (এফএও) দায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ কোড নির্ধারণ করে।

আরও বলা হয়, আহরণযোগ্য মৎস্যসম্পদের প্রাপ্যতা ও জাতীয় চাহিদা বিবেচনা করে বার্ষিক মোট আহরণযোগ্য মৎস্য আহরণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করবে। ল্যান্ডিং ফি নির্ধারণ বা প্রয়োজনে সমন্বয় করবে।

প্রত্যেক নৌযানের আহরণযোগ্য মৎস্যের পরিমাণের কোটা নির্ধারণ করা হবে। সংকটাপন্ন ও প্রজাতিভিত্তিক আহরণযোগ্য মৎস্যের সর্বোচ্চ আকার নির্ধারণ করা হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া লাইসেন্স ও মৎস্য আহরণের অনুমতিপত্র ইস্যু আইন/বিধি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করবে। মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য আন্তঃবিভাগীয়/দপ্তর ও আহরণকারীদের সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার করবে।

সামুদ্রিক মৎস্যের প্রজাতিভিত্তিক প্রাপ্যতা বিষয়ে অবিরাম জরিপ ও গবেষণা অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। উপকূল এলাকায় কাঙ্খিত মৎস্য আহরণ পদ্ধতি (টোপ ও বড়শি) উৎসাহিত করা যাতে অনাকাঙ্খিতভাবে মৎস্য প্রজাতি আহরণ ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা যেতে পারে। প্রতিবেশি উপকূলীয় দেশ বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় বা আঞ্চলিক মৎস্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে একই ধরনের উদ্যোগ নিতে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

এছাড়া অবৈধ, অনুল্লিখিত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ; আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, মৎস্যজীবীদের সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা, স্বার্থ সংরক্ষণ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের বিষয়েও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

কোন কাজ কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা করবে সেই বিষয়ে নীতিমালায় বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল