সর্বশেষ সংবাদ
খালেদ হোসেন টাপু, রামু কক্সবাজার প্রতিনিধি: রামু উপজেলাধীন গর্জনিয়াসহ ৩টি ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে চলা ঐতিহাসিক শাহ সুজা সড়ক সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। ঐতিহাসিক এ সড়কটি চকরিয়া, রামু ও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পূর্বপাশ ঘেষে সরাসরি মায়ানমারের মংডুতে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। রামু গর্জনিয়া ঐতিহাসিক শাহ সুজা সড়ক সংরক্ষণ কমিটির দেয়া তথ্য মতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে এই ঐতিহাসিক সড়কটি ১৬৬০ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র বাংলার সুবেদার শাহ সূজা আরকান যাত্রাকালে নির্মাণ করেছিলেন। সড়কটি চকরিয়ার ডুহলাজারা থেকে রামুর ঈদগড় গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, আশারতলী হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মায়ানমারের অভ্যন্তরে মংডু পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার।চকরিয়ার ডুলহাজারা থেকে মায়ানমারের মংন্ডু পর্যন্ত বিস্মৃত সুদীর্ঘ ৮৩ কিলোমিটারের এই সড়কের প্রস্থ ৩৩ ফুট , উচ্চতা ৮ ফুট। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কারও চালু না থাকায় সড়কটি ঐতিহ্যগত প্রাণ হারাতে বসেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংরক্ষণ তো দূরের কথা; বিভিন্ন স্থানে সড়কের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। কিছু প্রভাবশালী মহল সড়কটির বিভিন্ন অংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও চাষের জমি তৈরি করে ফেলেছে। ফলে যোগাযোগসহ বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ। এমতাবস্থায় সংস্কার পূর্বক পুনরায় সড়কটি চালু করা হলে পর্যটন সম্ভাবনার পাশাপাশি যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন। সচেতন মহল সড়কটি পূনরুদ্ধারপূর্বক সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। গর্জনিয়ার প্রবীণ শিক্ষক ও সমাজহিতৈষী ইসহাক মাষ্টার বলেন, শাহ সূজা সড়ক একটি ঐতিহ্যবাহী সড়ক হিসেবে পরিচিত। সড়কটি সংস্কার করা হল আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এই সড়কের সাথে সংযুক্ত এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করতে পারবেন এবং পর্যটন ও বাণিজ্যক্ষেত্র বিকাশের মধ্যদিয়ে র্অর্থনৈতিকভাবেও সরকার লাভবান হবে। গর্জনিয়ার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান, সঙ্গীত শিল্পী ইস্কান্দার মির্জা জানান, ইতিহাসকৃত সম্রাট শাহ সুজা সড়কের বর্তমানে খুবই দূরাবস্থা। সড়কটির উন্নয়ন সাধিত হলে এই অঞ্চলে পর্যটনশিল্পের ব্যাপক প্রসার লাভ করবে এবং বাণিজ্যক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। এ সড়কের উন্নয়নের জন্য আমি গর্জনিয়াবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রামুর লেখক ফোরামের সভাপতি, রামু প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর জানান, ঐতিহাসিক শাহ সূজা সড়ক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নানামুখী সূবিধার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই সড়কের একটি ঐতিহ্যগত পরিচিতি রয়েছে। শাহ সুজার স্মৃতিবিজড়িত এ সড়ক পুনরায় সংস্কারপূর্বক পুনরায় চালু করা হলে এতঞ্চলের যোগাযোগ সুবিধাসহ সার্বিক ক্ষেত্রে নতুন নতুন সম্ভাবনা দরজা খুলে যাবে। রামু লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমদ ছৈয়দ ফরমান জানান, ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহ সুজা কর্তৃক নির্মিত সড়কটি সংস্কারের করে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হলে পর্যটক আকর্ষণের পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে বলে আমরা মনে করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরীফিন জানান, চট্টগ্রাম জোনের জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের মোট ২৯ টি সড়ক উন্নয়নের কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় পাঠানো প্রস্তাবে ঐতিহাসিক এই শাহ সূজা সড়কও রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে শাহ সূজা সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। এস.এম
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল