আদালত প্রতিনিধি: গ্রাহকদের টাকা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তার মা ফরিদা আক্তার ও বোনের স্বামী মামুনুর রশীদকে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের চার পৃষ্ঠার লিখিত অনুলিপিতে গত ৩০ আগস্ট বিচারক স্বাক্ষর করেন। তবে আদেশের বিষয়টি মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণ্যমাধ্যমে আসে।
আদেশে আদালত বলেছেন, পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে হবে। পাশাপাশি নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন (এফিডেভিট) আকারে সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা চাইলে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করতে পারবেন এবং এ বিষয়ে বোর্ড সদস্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। এরপরই গতকাল মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বোর্ডের পক্ষ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।
এরই মধ্যে ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। পদত্যাগ করা বোর্ড আগামীকাল বৃহস্পতিবার নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে বলে জানা গেছে।
ইভ্যালি পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজকে বোর্ডের সদস্য করা হয়।
আদেশে বোর্ডের কাজ কী হবে তা-ও বলে দেওয়া হয়। কোম্পানির কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবে বোর্ড। কোম্পানি যেভাবে চলে সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটির চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে। আর চালানো সম্ভব হলে কোম্পানিটি চলবে।
সময় জার্নাল/এলআর