ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী
খাদ্য গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য কেবলমাত্র বেঁচে থাকা নয় বরং সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম হয়ে বেঁচে থাকা। শর্করা, আমিষ, তেল, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাবে মানুষের অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
অধ্যাপক মোহাম্মাদ হোসেন এর মতে এদেশে অপুষ্টিজনিত সমস্যাগুলো আলোকপাত করছিঃ
১. শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
২. ০-৫ বছর বয়স্ক শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে।
৩. শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ মহিলা ও শিশু এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা রোগে ভুগছে।
৪. প্রতি বৎসর ৩০ হাজার শিশু অন্ধ হচ্ছে।
৫. শতকরা প্রায় ৭৬ ভাগ পরিবার ক্যালরীর অভাবে ভুগছে।
৬. শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবার ভিটামিন এ এর অভাবে ভুগছে।
৭. শিশু মৃত্যুহার বাড়ছে (প্রতি হাজারে ১৪৬ জন)
৮. শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ লোক ভিটামিন-সি এর অভাবে ভুগছে।
৯. আনুমানিক শতকরা ৯৬ ও ৯৩ ভাগ লোক যথাক্রমে রাইবোফ্লোবিন ও ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছে।
১০. প্রায় ১০ মিলিয়ন লোক গলাফোলা রোগে আক্রান্ত এবং ২৩.৯ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছে।
দেশী ফলের পুষ্টিমান ও ব্যবহারঃ
প্রকৃতিতে যত প্রকার খাদ্য দ্রব্য উৎপাদিত হয় তার মধ্যে ফলই বেশি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু। এর মধ্যে রয়েছে মানব দেহের প্রয়োজনীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। ফল বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উৎস। কিন্তু অপ্রতুল সরবরাহ ও গ্রহণের কারণে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সুস্থ সবল জাতি গঠনে ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। আসুন আমরা মৌসুমী দেশীয় ফল আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে চেষ্টা করি আর সুস্থ সবল জাতি গঠনে ব্রতি হই। তথ্য সূত্র ইন্টারনেট।
ডাঃ তাজকেরা সুলতানা চৌধুরী
সহকারী অধ্যাপক,
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সময় জার্নাল/এলআর