ইমরান মাহফুজ : মাসের পর মাস বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। মাইনে ঠিকঠাক পাচ্ছেন শিক্ষক কর্মচারী। বাজেট বাড়ে, বাড়ে না গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের জীবন মান। কোটি কোটি শিক্ষার্থীরা আজ ঘরে। ভালো নেই মন, ভালো নেই অধিকাংশ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। স্বপ্ন অধরায় বেকায়দার জীবন!
মানি আর নাই মানি আমরা জানি একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাণ শিক্ষার্থী। তারা কই, কেমন আছে? আছে কী প্রাত্যহিক জীবনের সূচিপত্র?
আচ্ছা, কয়জন শিক্ষক (বিশেষ করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, আলীয়া মাদ্রাসা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো) সন্তানসম শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়েছেন? অথচ তাদের পড়ার বিনিময়ে আপনার মাইনে। সংসার চলে আপনার ও আপনার পরিবারের।
খ.
আজ বছরের প্রথম দিন অনেকে না খেয়ে আছেন।
একজন শিক্ষক কী বলছেন, যে আমি ত গত এক মাস পড়াই নাই, নৈতিকতভাবনায় বেতন নেবো না বা তার কিছু অংশ শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ।
হায় শিক্ষার্থীরা কী শিখবে, উদারতার প্রতীক কে হবে?
কেবল বইয়ের পাঠ আলোচনা কতটা মিটায় ক্ষুধা?
আন্তরিক অনুরোধ তাদের পাশে থাকুন...
আমরা লক্ষ্য করলাম, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, অনেক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যায়! থমকে যায় তাদের জীবন।
অথচ তারাই টিউশনির টাকায় পরিবারকে হেল্প করতেন। এমনকি ছেলের এই টাকায় যে মা বাবা নিয়মিত ওষুধ কিনতো, আজ তারা নিরুপায়!
তাদের পাশে আমরা গত বছর ছিলাম। এই বছরেও ভাবছি। দেশ আমার দায়িত্ব আমার...
লেখক : কবি ও গবেষক।
সময় জার্নাল/আরইউ