আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ঘাটিকে লক্ষ্য করে পূর্ব সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, দক্ষিণ পিয়ংইয়াং প্রদেশের তাইকন এলাকায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে অস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে একটি স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তবে তাৎক্ষণিতভাবে এটি বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। এমনকি এটি কি ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা কতদূরে পড়ছে এসবের কিছুই বলা হয়নি।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেন, এটি সর্বনিম্ন ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গতিতে পতিত হয়েছে যা এটার অনিয়মিত গতি।
তিনি বলেন, এটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক কেন্দ্রের বাইরে পড়েছে এবং এর ফলে জাহাজ বা বিমান চলাচলে কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়া স্বল্প দূরত্বের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এগুলো দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন সময়ে মহড়া চালানো হয়েছে। হামাদা বলেন, যদি এসব ক্ষেপণাস্ত্র একত্রিত করা হয় তাহলে এটা হবে ১৯তম উৎক্ষেপণ। যা তাদের অভূতপূর্ব গতি।
তিনি আরো বলেন, উত্তর কোরিয়ার এসব কর্মকাণ্ড আমাদের দেশ, এ অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এগুলো ইউক্রেনে আক্রমণের ন্যায় ক্ষমার অযোগ্য। তিনি আরো বলেন, এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে বেইজিংয়ে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে জাপান পত্র পাঠিয়েছে।
এ উৎক্ষেপণটি হয়েছে আমেরিকার পরমাণু শক্তিধর বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রোগান দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌথ মহড়ার জন্য আসার পর। এবং এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সিউলে এটি পরিদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গত জুনে এক দিনে আটটি স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত উৎক্ষেপণ করার পর এটি প্রথম বারের মতো উত্তর কোরিয়া উৎক্ষেপণ করল। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দেশটির ওপর স্যাংশন দেয়ার দাবি করে।
উত্তর কোরিয়া জাতিসঙ্ঘের রেজুলেশন লঙ্ঘন করেছে নিজেরে এ অঞ্চলের প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য। এছাড়া তারা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ববর্তী মহড়ার বৈরী নীতিকে তীব্র সমালোচনা করেছে। কোরিয়া ছাড়াও চীন ও রাশিয়া তাদের যৌথ মহড়ার সমালোচনা করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর