তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ঢাকার সরকারি সাত কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিট পড়েছে সরকারি বাঙলা কলেজে। সকাল ৯ টায় দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। পাবলিক বাসে চড়ে পরীক্ষা দিতে যেতে প্রায়ই বেগ পেতে হয় মহাখালীতে থাকা শিক্ষার্থীদের। তাই কিছুটা সময় ও কষ্ট লাঘবের জন্য কলেজের বাসে চড়েই পরীক্ষার কেন্দ্রে যায় অনেক শিক্ষার্থী। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে ৭টার দিকে বাসে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য উঠলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাস থেকে নেমে যেতে বলেন কলেজে শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। কলেজের ছাত্রাবাসে না থাকার কারণে একাধিক শিক্ষার্থীদের নেমে যেতে বলা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে৷
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগকর্মী প্রান্ত হোসেন ফয়সাল, বাদশা সাব্বির, ইমন হাসান সহ আরও কয়েকজনের নামে। প্রান্ত হোসেন ফয়সাল তিতুমীর কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ও তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি পরিকল্পনা সম্পাদক ও বাদশা সাব্বির ইংরেজি বিভাগের ১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা বলেন , আমরা বাসের ভেতরে ছিলাম। এমন সময় আখিঁ হলের ছাত্রলীগকর্মী পরিচয়ে প্রান্ত হোসেন ফয়সাল'সহ বেশ কিছু ছেলে কর্তৃত্ব খাটিয়ে বলে তাদের হলের ছেলেদের জন্য আলাদা বাস থাকবে যেটাতে শুধুমাত্র তারা যাবে আর বাকিদের নেমে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ অনুরোধ করার পরেও তারা শোনেনি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অকথ্য ভাষায় গালি থেকে শুরু করে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা পর্যন্ত তারা করে । এদের মধ্যে বাদশা সাব্বির , ইমন হাসান সহ হলের কিছু ছাত্রলীগকর্মী অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে এবং জোরপূর্বক বাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে প্রান্ত হোসেন ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাকে এই ধরনের শিক্ষা দেয়নি।
এই বিষয়ে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: রিপন মিয়া বলেন, আমাদের সবার প্রথম পরিচয় আমরা তিতুমীরিয়ান। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের কোন অন্যায়ের সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে না। অন্যায় যারা করে তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই, সে যেই সংগঠনেরই কর্মী হোক না কেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তিতুমীর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: মহিউদ্দিন'র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নিন্দনীয় অপরাধমূলক কাজ। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে গঠনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআই