সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এখনও কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট চালু করা হয়নি। হৃদরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কার্ডিওলজি বিভাগটিও চালু আছে সীমিত পরিসরে। মাত্র ৪৬টি শয্যার এই ইউনিটের সিসিইউতে কার্ডিয়াক মনিটর আছে মাত্র পাঁচটি। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে মাত্র ১৪ সদস্যের জনবল দিয়ে এই ইউনিটটি চালানো হচ্ছে। স্বল্প পরিসরে হার্টের রিং লাগানোর বাইরে ওপেন হার্ট সার্জারি, হার্টের ভাল্ভ লাগানোর মতো হূদরোগের উম্নত চিকিৎসা সুবিধা দিতে পারছে না দেশের এই শীর্ষ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি।
একই অবস্থা রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের। দেশের মোট ৩০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সুবিধা আছে। জনবল সংকটের কারণে সেখানেও হার্টের রিং লাগানো ও বাইপাস সার্জারি সেবার পরিধি সীমিত। এ অবস্থায় সরকারি বিশেষায়িত জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ওপরই এ চিকিৎসা নির্ভরশীল।
এ পরিস্থিতিতেই আজ ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হবে বিশ্ব হার্ট দিবস।চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। হৃদরোগের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলে থাকেন সচল থাকতে গোটা শরীরের মতো হৃদযন্ত্রেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর করোনারি ধমনী হৃদযন্ত্রে ওই অক্সিজেন সরবরাহ করে।
কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপনে করোনারি ধমনীর ভেতরের দেয়ালে ফ্যাট জমে যায়। এর ফলে সময়ের সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফুসফুসে রক্তের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে কার্ডিয়াক ইস্কেমিয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। বেশ কিছু সময় পর্যন্ত বুঝতে না পারলে বা চিকিৎসায় দেরি হলে হৃদযন্ত্রের কোষগুলোর একে একে মৃত্যু ঘটে। তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন মানুষ।
অন্যদিকে পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে, যার অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হৃদরোগে মারা যান। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক।
গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি (জিবিডি) ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ)
এই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধনীর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
খসড়া সংশোধনীতে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে খসড়াটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল