শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আট জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু

রোববার, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
আট জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু

দেশের আট জেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, নওগাঁ, সুনামগঞ্জ, গাজীপুর ও রাঙামাটিতে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে বাবা-ছেলে সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।


মাগুরায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বজ্রপাতের সময় মুঠোফোনের টাওয়ারে কাজ করতে গিয়ে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আলম মোল্লা (৩৫), প্রল্লাদ বিশ্বাস (৪৫), শামীম সরদার (৩০) ও মেহেদী হাসান (১৬)।


পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে থেমে থেকে বজ্রপাত হতে থাকে। বজ্রপাতে মাঠে কাজ করার সময় মাগুরা সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের আলম মোল্লা, শালিখা উপজেলার বুনাগাতি ইউনিয়নের বাকলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক প্রল্লাদ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। অপর দিকে সদর উপজেলার আক্কুরপাড়া এলাকায় মাগুরা-শ্রীপুর সড়কে বজ্রপাতে ভ্যানচালক শামীম সরদারের মৃত্যু হয়। শালিখা উপজেলার সীমাখালিতে বজ্রপাতের প্রচণ্ড শব্দে মুঠোফোন টাওয়ার থেকে নিচে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মেহেদী হাসানের মৃত্যু হয়।


সদর থানার উপপরিদর্শক আশরাফ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় আজ সকালে বজ্রপাতে আবদুর রহিম (৫০) নামের একজন ধান কাটার শ্রমিক মারা গেছেন। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার জামবুরাছড়া গ্রামে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দুরুইন গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক আজ সকালে খেতে ধান কাটছিলেন। বৃষ্টিপাত শুরু হলে হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটে। এতে আবদুর রহিম গুরুতর আহত হন। অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুজ্জান বলেন, আবদুর রহিমের পরিবারকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।


অপর দিকে নোয়াখালীতে মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে ইকবাল হাসনাত ওরফে পিয়াল (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পিয়াল নোয়াখালী জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।


পিয়ালের চাচা আবদুল্লা আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সকালে পিয়াল বাড়ির পাশে মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি শুরু হলে বন্ধুরা সবাই দ্রুত মাঠ থেকে বাড়ির দিকে দৌড় দেয়। এ সময় বিকট শব্দে একটি বজ্রপাত পিয়ালের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, নিহত পিয়ালের বাবার নাম সোহেল রানা ওরফে জগলু। তিনি নোয়াখালী সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে পিয়াল বড়। আজ বুদ্ধপূর্ণিমায় স্কুল ছুটি থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল সে।


ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন দত্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


এদিকে বাসসের খবরে বলা হয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, শাহজাদপুর ও কামারখন্দে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

নিহতরা হলেন: কাজীপুরের চরাঞ্চল ডিগ্রি তেকানী গ্রামের শামছুল মণ্ডল (৫৫) ও তাঁর ছেলে আরমান (১৪), শাহজাদপুর উপজেলার ছয়আনি গ্রামের ফারুক খানের ছেলে নাবিল (১৭) ও রাশেদুল ইসলাম ছেলে পলিন (১৫) এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়া গ্রামের কাদের হোসেন (৩৭)।


কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ জানান, সকালে ডিগ্রী তেকানী চরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাদাম তুলছিলেন শামছুল। এ সময় বজ্রপাত হলে দুজনেই ঝলসে যান। তাদের উদ্ধার করে কাজীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজনের মারা যান। অপরদিকে, কামারখন্দের পেস্তককুড়া গ্রামের কৃষক কাদের হোসেন বাড়ির পাশেই নিজের খেতে ধান কাটছিলেন। সময় বজ্রপাতে তাঁর শরীর ঝলসে যায়। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। 

অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে নাবিল ও পলিন দুই বন্ধু ছয়আনি গ্রামের একটি তাল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল। এ সময় বজ্রপাতে দুজনেই ঘটনাস্থলে মারা যায়।


নওগাঁর সাপাহারে বজ্রপাতে গৃহবধূ সোনাভানের (২৪) মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত চারজনকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) মারা গেছেন। তিনি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন। এ সময় এক নারীসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হন। 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মনছুরা বেগমের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। মনছুরা বেগম বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে কৃষক লিটন মিয়ার (৩০) মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল