এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ২১৭ নং খাউলিয়া নিশানবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। খেলার মাঠটি পরিনত হয়েছে ডোবায়। আর এ কারনে একদিকে শিখন কার্যক্রম ও অপরদিকে মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার বন্ধ রয়েছে।
সরজমিনে জানা গেছে, ২০০০ সালে ৫২ শতক জমির উপর নির্মিত হয় এ বিদ্যালয়টি । শিক্ষার্থী রয়েছে ৮৫ জন। ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন। ২২ বছরের পুরোনো এ ভবনটি এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। প্রথম শ্রেনী ও ৫ম শ্রেণীর কক্ষ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ছে। ভেঙে যাওয়া ছাদের রড দৃশ্যমান। প্রতিটি কক্ষ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। গত সোম ও মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলাকালীন ২টি ক্লাশের প্লাষ্টার হঠাৎ খসে পড়ে। বিদ্যালয়ের বাহিরের অবকাঠামোর পলেস্তরা খসে পরা দৃশ্যমান। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করতে বাধ্য হচ্ছে।
অনেকে অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। অনেকে বিদ্যালয় আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও এ বিদ্যালয়ে আসতে নিশনবাড়িয়া খালে উপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ পুল রয়েছে। এ পুলটিও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল আউয়াল শিশু শ্রেনীর প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাশ নিচ্ছেন।
৫ম শ্রেনীর ছাত্র রমজান ফরাজী, সিয়াম শিকারি, মনি আক্তার, জামিলা আক্তার সহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস চলাকালীন সময় হঠাৎ ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ায় তারা আতঙ্কে রয়েছে। তারা বিদ্যালয়টি পুনঃনির্মানের পাশাপাশি আপাততঃ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করে।
এ সর্ম্পকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র হালদার জানান, বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যার কারনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। বিষয়টি ক্লাষ্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান এর পরামর্শক্রমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদনকরা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সমস্যা সম্পর্কে তিনি অবহিত হয়েছেন। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৫২ টি বিদ্যালয়ের সয়েল টেষ্ট সম্পন্ন হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর