সময় জার্নাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির জন্য স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯১৩ ভিভিআইপি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।
লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের সংবর্ধনা এবং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্ক সফরে ২০ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওইদিন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেন। এছাড়া স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২১ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলেমে ল্যাসো মেন্ডেজো, কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিজোসা ওসমানী সাদ্রিউর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে ‘টেকসই গৃহায়ণ’ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান এবং ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন’ শীর্ষক সভায় অংশ নেন। এছাড়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পদ্মা সেতুর স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গোলটেবিল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হু সেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এছাড়া তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যান্তেনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসি প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খান।
২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পালটা-নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরী পন্থা পরিহার করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট ও বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
২৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকেলে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে যান এবং ২ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী।
এমআই