জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাঁচ মাসের খাদ্য কেনার মতো রিজার্ভ আমাদের আছে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ কখনো ঋণ খেলাপি হয়নি। আমরা যথা সময়ে ঋণ পরিশোধ করে দিই। আর যখন আমরা ঋণ পরিশোধ করি তখন রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়। এরপরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যেন থাকে তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা তা নিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নেতৃত্ব, যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তারা সবাই আশঙ্কা করে বলছেন, ২০২৩ সালে বিশ্বের জন্য একটি অত্যন্ত দুর্যোগময় সময় এগিয়ে আসছে। এমনকি বিশ্বে দুর্ভিক্ষও দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশ এমনিতেই দুর্যোগপ্রবণ। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। এসব মোকাবিলা করেও তিন মেয়াদে আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি, যার যে জমি আছে সবাই যেন সেখানে কিছু না কিছু উৎপাদন করে। বিশ্বব্যাপী একটি আশঙ্কা আছে, আগামী বছর একটি মহাসংকটের বছর হবে, তাই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ব্যবহারে যেন সবাই সচেতন হই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীর কথা চিন্তা করে কীভাবে আমরা সাশ্রয়ী হব, কী কী কাজ করতে হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা আছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতি সচল রাখতে পেরেছি এটাই হলো বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আমাদের বাজেটের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। যেসব প্রকল্প খুবই জরুরি সেগুলো আমরা দ্রুত শেষ করছি। যেন সেখান থেকে রিটার্ন আসতে শুরু করে। এ প্রকল্পগুলোর কাজ আমরা দ্রুত শেষ করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমরা বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। জনগণের প্রতি আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে, তাই আমি যা করি তার আগে জনগণ কতটা লাভবান হবে সেদিকে দৃষ্টি দিই। আমরা যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন করেছি এই গতি যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি সব সময়।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১৮ দিনের সফর শেষে গত ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টার দিকে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা চার্লস তৃতীয় আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শেষ সপ্তাহে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
এমআই