সময় জার্নাল ডেস্ক:
বিদেশ থেকে আমদানি করা হলুদ মাল্টা নয়। এটি দেশে উৎপাদিত সবুজ মাল্টা। খেতেও বেশ সুস্বাদু। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বাড়ছে সবুজ মাল্টা চাষ। ভালো ফলনের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। মাল্টা চাষে সবধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
ছোট ছোট গাছগুলোর প্রতিটি শাখাজুড়ে সবুজ মাল্টার সমাহার। প্রতিটি পাতার নিচে লুকিয়ে আছে শত শত ফল। দেখতে কাঁচা মনে হলেও বেশ সুমিষ্ট ও রসাল সবুজ মাল্টা। কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই চাষ হয়েছে। গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার হয়েছে জৈব সার।
২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ উপজেলার বিশ্বম্ভরপুরের প্রবাস ফেরত আবদুর রহমান চিনাকান্দি গ্রামে বাড়ির পাশের ৪৫ শতক পতিত জমিতে ২০০ টি চারা দিয়ে সবুজ মাল্টা চাষ শুরু করেন। ৬০টি চারা মারা গেলেও পরের বছর থেকেই ১৪০টি গাছে নিয়মিত ফলন আসছে। গত বছরের চেয়ে এবার ফলন আরও ভালো হয়েছে। আব্দুর রহমান বলেন, অন্যান্য জেলা থেকে মানুষ এসে চারা নিয়ে যায়। এত চাহিদা থাকে আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আব্দুর রহমানের সাফল্যে সবুজ মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় যুবকরাও। তারা বলেন, এখানে সাফল্যের পর দেখাদেখি অনেক বাগান গড়ে উঠেছে। তারাও সাফল্যের পথে হাঁটছে।
মাল্টা চাষকে আরও প্রসারিত করতে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুল আলম বিধু বলেন, আব্দুর রহমানের বাগানে ১৪০টি গাছ রয়েছে। প্রত্যেক গাছেই ভালো ফল এসেছে। উনি কৃষি বিভাগের সকল পরামর্শ মেনে চলছেন। আশা করি উনি সাফল্য অর্জন করবেন।
এবার বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছ পরিচর্যায় আব্দুর রহমানের খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। তিন হাজার কেজি মাল্টা বিক্রি করে ৭ লাখ টাকারও বেশি আয় করার আশা তার।
সময় জার্নাল/এলআর