এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৬৫ নং মজিবুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও অপরিকল্পিত চাহিদার সাথে মিল না রেখে দায়সারাভাবে কাজ দেখিয়ে নয়-ছয় করে পার পেতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন তদারকি।
স্থানীয়দের দাবি সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিকভাবে কাজ হয়নি। প্রধান শিক্ষক মোসা. লিলি আক্তারের ইচ্ছামাফিক কোনমতে কাজ করাচ্ছে বিদ্যালয়ে।
প্রাথমিক শিক্ষার মানউন্নয়ে সরকারিভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুটিন ম্যানটেনেন্স, স্লিপের অর্থ বরাদ্দ, প্রাক-প্রাথমিকের উপকরণ বরাদ্দ, করোনা সহায়তা ও ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যায় হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখভাল ও তদারকি দায়িত্ব থাকলেও দায়সারাভাবে হচ্ছে এসব কাজ। সরকারি বরাদ্দ কাজে আসছে না।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বারইখালী ইউনিয়নের মজিবুল হক সরকারি বিদ্যালয়টি নতুন ভবনের কাজ শুরু হলেও অস্থায়ী ভিত্তিতে টিন শেট ঘরে শিক্ষার্থীদের চলছে পাঠদান। এ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের ২লাখ টাকা বরাদ্দ হয়ে চাহিদা অনুযায়ী ৩০ জুন ২০২২-সালের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা থাকলেও অদ্যবধি পর্যন্ত কাজের নেই অগ্রগতি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে বরাদ্দের টাকা নয়-ছয় করে কাজটি শেষ করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে অভিভাবক-স্থানীয়দের।
সিডিউল অনুযায়ী শ্রেনীকক্ষসহ অফিসকক্ষের ৬০ ফুট ফ্লোর পাকা, অফিস কক্ষের টিনের ছাউনী কাঠের ঘর নির্মাণ, শ্রেনীকক্ষসহ অফিস কক্ষের দেড় ফুট ইটের গাথুনী। বাস্তবে বরাদ্দকৃত কাজ হয়েছে শুধুমাত্র অফিস কক্ষের ফ্লোর পাকা, কোনমতে পুরাতন শ্রেনীকক্ষের সাথে অফিস কক্ষের একটি কাঠের রুম তৈরি করা হয়েছে। তাও আবার ফ্লোরের মেঝের পলেস্তরা উঠে গেছে বিভিন্নস্থান থেকে।
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ে গত অর্থ বছরে স্লিপের অর্থ বরাদ্দ, করোনা সহায়তা, প্রাকের বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যায় হয়নি। অপরিকল্পিত ফ্লোর তৈরি করে সরকারি অর্থ অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
এ সর্ম্পকে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, শুনেছি ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ এসেছে চাহিদা অনুযায়ী কি কাজ করানো হবে সে বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে কিছুই জানাননি।
প্রধান শিক্ষিকা মোসা: লিলি আক্তার বলেন, ফ্লোরে কাজ করে যাবার পরে পলিথিন কে বা কাহারা নিয়েগেছে। বৃষ্টির পানি পড়ে ফ্লোরে ক্ষতি হয়েছে। পুনরায় আবার ফ্লোর তৈরি করা হবে। জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির কারনে কাজটি একটু দেরি হয়েছে। স্কুল বন্ধের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মজিবুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ প্রধান শিক্ষক কিছু অপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে জানতে পেরেছি। তবে সরেজমিনে সিডিউল অনুযায়ী কাজের সাথে মিল না পেলে অর্থ বরাদ্দ বাতিল হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ওই বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ না করা হলে সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর