আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আগ্রাসনের পর প্রথমবারের মতো কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে এ নৃসংশ হামলা চালিয়েছে। যেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিশুদের প্লে গ্রাউন্ডেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে সামরিক কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধি হচ্ছে না। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এ হামলার ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রিমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইউক্রেনজুড়ে রুশ বাহিনীর হামলা শুরু হয়েছে। রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার সংযোগ সেতুতে শনিবারের ওই বিস্ফোরণের জন্য পুতিন ইউক্রেনকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করেন এবং এই ‘সন্ত্রাসী হামলার’ জেরে ইউক্রেনে রুশ হামলা আরো জোরদার করার হুমকিও দেন।
ইউক্রেনের দাবি, ৮৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ৪৩ জনের বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনকে ভয় দেখানো যাবে না। এটি আরো ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা বলেছেন, ১৪ জন নিহত হয়েছেন এই হামলায় এবং আহত হয়েছেন আরো অনেকে। জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর বেশ কিছু অঞ্চল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় পানির সংকটও।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে একটি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিয়েভে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, রাশিয়া সন্ত্রাস ও বর্বরতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জো বাইডেন বলেছেন, এটি বর্বরতা ও নৃসংশতা। প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনৈতিক যুদ্ধ এটি।
চীন ও ভারত যুদ্ধের নিন্দা না জানালেও উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর