আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ঘুস-জালিয়াতির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির আরও ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের একটি আদালত। বুধবার (১২ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে এ রায় দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
৭৭ বছর বয়সী নোবেল জয়ী অং সান সুচি নেইপিদোর নির্জন কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলার শুনানিতে এখন সেখান থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি।
এর আগেও বেশ কয়েকটি মামলার রায়ে তার সাজা হয়েছে। সুচির বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগে মামলা চলছে মিয়ানমার জান্তা সরকারের আদালতে। এসব মামলার সবকটিতে সাজা হলে তার ১৯০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদিও এসব মামলায় আনা অভিযোগ প্রতাখ্যান করছেন তিনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী তার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার সময় নোবেল জয়ী সু চি গ্রেফতার হন।
জান্তা সরকারের আদালতে মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্যরা কেউ উপস্থিত থাকতে পারছেন না। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা করে আসছে।
জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করলেও দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি তখন থেকেই। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে তারা। এখনো প্রায় বিদো্রহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর সদস্যদের লড়াইয়ের খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপগুলো বলছে, মিয়ানমারে সেনা অভূত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন দেশটি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করারও অভিযোগ ওঠে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির সেনাদের নির্যাতনে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের অর্থনীতি। রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশটিতে।
সময় জার্নাল/এলআর