বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক সেলিনা আখতার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, কোটি কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে তাকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাবাদ শেষে দুদক থেকে বের হওয়ার সময় আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, কেন ডাকা হয়েছে, কী উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছে আপনারা বুঝে নিন।
তিনি বলেন, আমি সাধারণ জীবন যাপন করছি। আমার ইন্টিগ্রিটি (সততা) নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমীর খসরু, তার স্ত্রী তাহেরা আলম ও ভায়রা গোলাম সরোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ মার্চ হাজির হওয়ার জন্য তলব করে। তবে আজ তিনি একাই হাজির হন। অন্য দুজন আসেননি।
এর আগে আমির খসরুকে দুই দফায় তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এছাড়া ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমীর খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দেয় দুদক।
দুদক জানিয়েছে, বিএনপি নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা করেন।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে তিনি ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। মানিলন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগ বলছে। ১৩ আগস্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।