মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

"আমি সেই কোয়ালিটির কেক কাস্টমারদের দেই, যা আমার বাচ্চা খেতে পারে"

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২২
"আমি সেই কোয়ালিটির কেক কাস্টমারদের দেই, যা আমার বাচ্চা খেতে পারে"

লাবিন রহমান:

কোথাও দাওয়াতে গেলে বা বাসায় মেহমান আসলে দই-মিষ্টি অবশ্যই থাকবে। এটা ছিল আমাদের এক সময়ের সংস্কৃতি। এখন এই জায়গায় নতুন এক নাম যুক্ত হয়েছে 'কেক'। সেসময় কেক ছিল শুধুমাত্র জন্মদিনের অনুষ্ঠানের জন্য সীমাবদ্ধ। এখন বাড়িতে ছোট-খাটো অনুষ্ঠান, বড় বড় পার্টি, কারো বাসায় বেড়াতে গেলে, কাউকে অভিনন্দন জানাতে সকল জায়গায় কেক প্রয়োজন। কেক ছাড়া এসকল অনুষ্ঠান এখন যেন ভাবায় যায় না। 

এর মধ্যে অনেকে আবার চান ঘরে তৈরি কেক। বানানোর পদ্ধতি জানা থাকলেও ব্যস্ততার কারনে নিজ হাতে বানাতে সময় পান না। এসব দিক বিবেচনা করে দিন দিন বাড়ছে ঘরে বানানো কেকের কদর। রিফফাত সুলতানা লিপি তার কেক আইচ বাই রিফফাত এর মাধ্যমে সেইসব ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করে আসছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি একাজ করছেন। বর্তমানে উনি একজন সফল উদ্যোক্তা।

কেক আইচ বাই রিফফাত এর শুরুর গল্পটা তার কাছ থেকেই জানব। আমার ছেলে তখন বেশ ছোট। দোকান থেকে কেনা কেক খেয়ে বাচ্চার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমন কি হাসপাতালেও নিতে হয়েছিলো। এরপর, আমি বাসায় কেক বানানো শুরু করি। পরিবারের সদস্যদের ভালো লাগতে থাকে। এরপর আত্মীয়, প্রতিবেশি সকলেই আমার কেক খেয়ে প্রশংসা করতে থাকে।

এর মধ্যে আমার ছেলেরাও বেশ বড় হয়ে যায়। সকলের আগ্রহ দেখে আমি কেক বানানোর খুটিনাটি আরো ভালো করে শেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নেই। ছেলেদের উৎসাহেই এখন আমি একজন উদ্যোক্তা। এখন আমার বানানো কেক ঢাকা শহরের সর্বত্র পৌছে যাচ্ছে।

কেক তৈরির সাথে বরফের সম্পর্ক না থাকলেও আমার প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে আইচ শব্দটা দেয়া আছে। এর কারণ কেক সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হয়। তা না হলে কেকের ওপরের ক্রিমগুলো ভালো করে জমে না। অনেকে তাড়াতাড়ি জমার জন্য ডালডা বা অন্য কিছু ব্যবহার করেন। কিন্তু আমি তা করি না। আমি ক্রেতাকে যা যা ইনগ্রেডিয়ন্টেস বলি তাই দেয়ার চষ্টো করি। আমি মনে ব্যবসা দুইদিনের জন্য নয়। আমার লাভ কম হলেও ক্রেতার সন্তুষ্টি আমার কাছে অনেক বড়।

কেকের ক্ষেত্রে বড় একটা বাধা হচ্ছে ডেলিভারি করা বা ক্রেতার বাসায় সময় মতো পৌছে দেয়া। অন্য আট দশটা আইটেমের মতো কেক নয়। এটা খুবই সাবধানে ফ্রিজে নিতে হয়। সাধারণত পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য আমার কেকের অর্ডার সবচেয়ে বেশি আসে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফ্রেভার এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের কেক আমি অর্ডার নিয়ে থাকি।

কেকের গুনগত মানের বিষয়ে আমি কোন ধরনের কমপ্রোমাইজ করি না। আমি আমার সন্তানকে যে কেক খায়াতে পারব সেই কেকই ক্রেতার জন্য তৈরি করি।  কেক তৈরির প্রতিটি ইনগ্রেডিয়েন্ট আমি নিজে হাতে ফ্রশ এবং সবচেয়ে ভালো টা কিনে থাকি।

বর্তমানে কেক তৈরির পাশাপাশি অনেকে পারসনালি আমার কাছে শিখতে আসেন। আমার স্বপ্ন আরো মেয়েদের শেখানো। বিশেষ করে পিছিয়ে পরা নারী যারা টাকা দিয়ে শিখতে পারছেন না কিন্তু আগ্রহী তাদের জন্য কিছু করা। সেইসাথে আবার প্রতিষ্ঠানকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করবে।

রিফ্ফাত সুলতানা লিপি
Page : Cake Icing by Riffat
কেক আইচিং বাই রিফ্ফাত

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল