সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক:
শিক্ষক কখনও জাতি গড়ার কারিগর হতে পারে না! কি বিস্মিত হচ্ছেন নাকি আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন? আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার আগে কখনও কি ভাবছেন নাকি সবার মত আপনিও মেনে নিয়েছেন যে শিক্ষকরাই জাতি গড়ার কারিগর!কেন শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর নয় তাই এখানে বর্ণনা করব। শিক্ষক এমন কোন মহান নয় যে আমূল পরিবর্তন করে পথ প্রদর্শক হতে পারেন
।যদি শিক্ষকের সংজ্ঞা দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন!শিক্ষক হল নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর অর্জনকৃত জ্ঞান দান করা যা অন্য ব্যক্তির জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারে আবার নাও পারে।শিক্ষক মানেই শিক্ষা দান করা।সে হিসেবে একজন ড্রাইভারও তার হেল্পারের নিকট শিক্ষক।যদি শিক্ষক মানে আদর্শ হতো, তাহলে কখনও অহংকারে নিমজ্জিত হতো না বিদ্যাপীঠ। হতো না পরনিন্দার চর্চা, ক্ষমতার অপব্যবহার, পারতো না স্বার্থপর হতে।আমরা শিক্ষক বলতে যা বুঝি তা কখনও সঠিক নয়।জাতি গড়ার কারিগর যদি শিক্ষক হতো, তাহলে এই পথভ্রষ্ট জাতির দায়ভার কার?এই ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজদের কে শিক্ষিত করলো?শিক্ষক যদি আদর্শই হতো তাহলে এই শিক্ষিত অন্যায়কারীদের আদর্শ কে? নাকি শিক্ষকও অন্যায়কারী বলে তারাও অন্যায়কারী।সন্তানের প্রতিচ্ছবিই যদি পিতা-মাতা হয়, তাহলে শিক্ষিতদের প্রতিচ্ছবি কারা? নিশ্চয়ই শিক্ষক!
আমি শিক্ষকদের বিরোধী নয়,আমি শিক্ষকের মর্যাদায় বিরোধী।আমার মনে হয় শিক্ষকের মর্যাদা একটু বেশিই দেখানো হয়েছে।একজন শিক্ষক বরাবরই গুরুর চেয়ে ছোট।গুরু আমূল পরিবর্তন করে তার শিষ্য দ্বারা। যে পথ বাতলিয়েছে সেই পথে আগে সে হাঁটে।তার দ্বারা অযথা উপদেশ আসে না।যার নিজের মধ্যেই যা নেই তা যদি অন্যকে উপদেশ দেয়। আর যাই হোক সে গুরু নয় সে শিক্ষক।সে কপট ও ভন্ড।গুরু পরীক্ষিত,বাস্তবিক জ্ঞানের ভান্ডার।যার দ্বারা সকল কিছুই পরিবর্তন সম্ভব।শিক্ষক পুঁথিগত বিদ্যার ভান্ডার যা পরিবর্তনে আসতেও পারে আবার নাও আসতে পারে।মরীচিকার দূরত্ব যেমন নির্দিষ্ট করা যায় না তেমনি শিক্ষকের উপরও ভরসা করা যায় না।
আমার কাছে শিক্ষকের চেয়ে গুরুর সম্মান অগ্রাধিকার।কারণ গুরুরা অযথা বলি বেড়ায় না,তারা জেনে-বুঝে তৈরি করে।সমাজ পরিবর্তনে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে।অপরদিকে শিক্ষক যদি আদর্শই হতো তাহলে কেন এখনও ন্যায়ের পতাকা বলুন্ঠিত?কেন এই অসমাচার? আমি শিক্ষক না গুরু চাই, যে নিজের গুণ নিঃস্বার্থে বিলিয়ে দিবে। আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সমাজ হবে একাকার। তাই আমি গুরুকেই বলি জাতি গড়ার কারিগর।কারণ গুরু কোন পেশায় নয় শিক্ষকতার মতো।কপট আর ভন্ডামীর জ্ঞান আর যাইহোক গুরু দেয় না।
ন্যায়হীন জ্ঞানীও শিক্ষক কিন্তু গুরু কখনও ন্যায়হীন হতে পারে না।তার কাছে সকল শিষ্যই সমান, যে সমতা আনে শিষ্যদের আর শিষ্যরা আনে সমাজের।তবেই না সমাজ হয় উন্নত আর স্পষ্ট। তাই শিক্ষকের উচিত গুরু হওয়া, কোন পেশার মধ্যে আবদ্ধ না থাকা।
উজ্জল হোছাইন
ইংরেজি বিভাগ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবিপ্রবি।
এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল