আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের সীমান্ত লাগোয়া রাশিয়ার বেলগোরোদে সেনা ট্রেনিং ক্যাম্পে বন্দুক হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইউক্রেনের সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলগোরোদে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুই হামলাকারী, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক, অনুশীলনের সময় স্বেচ্ছাসেবক সৈন্যদের ওপর গুলি চালায় ও পাল্টা গুলিতে নিহত হয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য সৈন্য সংগঠিত করার আদেশের পর এই হামলার ঘটনা ঘটলো। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নেয় রাশিয়া। সম্প্রতি রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগ সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুটি। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর রাশিয়া বড় হামলার ঘটনা ঘটলো এটি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণকারী ব্যক্তিরা আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া সময়, সন্ত্রাসীরা ইউনিটের কর্মীদের ওপর গুলি চালায়।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ ইউটিউব সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে হামলাকারীরা মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের বাসিন্দা এবং ধর্ম নিয়ে বিতর্কের জেরে অন্যদের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
তাজিকিস্তান প্রধানত মুসলিম দেশ। তবে সেখানে প্রায় অর্ধেক রাশিয়ান খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। রাশিয়ার মন্ত্রণালয় বলছে, হামলাকারীরা কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস-এর একটি দেশ থেকে এসেছে যেটি তাজিকিস্তানসহ নয়টি সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
তবে আল জাজিরা তাৎক্ষণিকভাবে আরেস্টোভিচের মন্তব্য নিশ্চিত হতে পারেনি।
স্বাধীন রাশিয়ান নিউজ ওয়েবসাইট সোতা ভিশন জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছে এবং বেলগোরোদের প্রায় ১০৫ কিলোমিটার (৬৫ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বের ছোট শহর সোলোতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে প্রায় আট মাস ধরে। এখনও যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। দু’পক্ষের লড়াইয়ে বহু মানুষের প্রাণ গেছে। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন কয়েক লাখ ইউক্রেনীয়। এদিকে, যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশে দেশে বেড়েছে খাদ্য পণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম।
সময় জার্নাল/এলআর