মো: আবদুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ প্রতিনিধি:
দ্বীপ রাস্ট্রের নীল রঙের পানি দেখতে পর্যটকদের মূল আকর্ষন,এদিকে পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্যমন্ডিত দেশ ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। শান্ত-মনোরম পরিবেশই পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। যেখানে পানির রঙ নীল আর বালির রঙ সাদা। তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মালদ্বীপের সবগুলো দ্বীপের চারদিকে ঘিরে আছে সাগরের অফুরন্ত পানি। পর্যটকদের আনাগোনা অনেক টা বেড়েছে অক্টোবর মাসের প্রথম সাপ্তাহে দেখা গেছে মালদ্বীপের ইমিগ্রেশনের পেইজ থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে অনেক বেশি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে রাশিয়া, ভারত এবং যুক্তরাজ্য থেকে সর্বাধিক সংখ্যক পর্যটক ভ্রমণ করতে এসেছে মালদ্বীপে।, রাশিয়া থেকে ২০ হাজার ৩৪১ জন, ভারত থেকে ১৫ হাজার ৩৯৪ জন, এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৮ হাজার ৮৫২ পর্যটক আগমন রেকর্ড করা হয়েছে।ভ্রমণপ্রিয় সকলের কাছে মালদ্বীপ যেন পছন্দের শীর্ষে। প্রাচ্য কিংবা প্রাশ্চাত্য বা দূরপ্রাচ্যের সকলে ছুটে আসে নিজের মতো করে মহাসাগরের বুকে এক চিলতে জেগে ওঠা দ্বীপগুলোতে নিজেকে খুঁজে পেতে।
উল্লেখ্য গত ১১ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে মালদ্বীপে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মোট ১১১৯৮৬ পর্যটক আগমন রেকর্ড করা হয়েছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২,৯১০ পর্যটকের বৃদ্ধি। মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন এর প্রকাশিত পরিসংখ্যান এ বলা হয়েছে যে ১০০০০০ এরও বেশি পর্যটক ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে এসেছে।
পর্যটক চাহিদার যোগান হয়েছে যে জন্য প্রকৃতির মায়াবী রূপে সাজিয়েছেন দেশটিতে থাকা ব্যাবসায়ীরা, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, স্বর্গের দ্বীপ, প্রকৃতির কন্যা যেন সৌন্দর্যের রানি। যা দুনিয়াজোড়া মানুষকে মুগ্ধ করে ও টানে, সরল শান্ত ও মনোরম পরিবেশ মুগ্ধ করে সকল পর্যটক কে।প্রতিদিন শত শত পর্যটক মালদ্বীপের সৌন্দর্য দর্শনে ভ্রমণে আসছেন,পর্যটকরা মালদ্বীপ থেকে চলে যাওয়ার সময় আবার আসার দিনক্ষণ ঠিক করার পরিকল্পনা সাজিয়ে যায় এ যেন এক মায়ার বাঁধন। প্রকৃতি আর ভারত মহাসাগরের জলরাশি পর্যটকদের কত আপন করে নিতে পারে তা মালদ্বীপ ভ্রমণ না করলে ঠিক উপলব্ধির জায়গাটায় বিশাল শূন্যতা বিরাজ করে।
এদিকে লক্ষ্য করে দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থেকে কাজের প্রয়োজনে আসা শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক বাংলাদেশিরা মালদ্বীপে বসবাস করছেন, এরা সবাই প্রিয় মাতৃভূমির মায়াঁর বাঁধন কে দূরে সরিয়ে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার পাশাপাশি নিজেদের পরিবার কে সুখে শান্তিতে রাখতে নিজের জীবনের সুখ দুঃখ গুলো বিসার্যন দিয়ে যায় বছরের পর বছর। গেলো বছরের শেষের দিকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপে আসার পর থেকে বাংলাদেশী পর্যটকদের আগমন দ্বিগুণ বেড়েছে অন্য দিকে বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি বিমান চালু হওয়ার পর কম খরচে ভ্রমণ করা শুরু হয়েছে বাংলাদেশী পর্যটকদের যায় হিসাবে এখনো সঠিক ভাবে পাওয়া যায়নি মালদ্বীপ ইমিগ্রেশনের থেকে।
সময় জার্নাল/এলআর