গজারিয়া প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানাতে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় ভালো নেই, গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনবহুল বাজারে অবস্থিত চায়ের দোকানদার, বিভিন্ন আন্তঃযোগাযোগ রাস্তায় চলাচলকারী অটো মিশুক, সিএনজি চালক,দিন মজুর সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ।
বেকার হয়ে পড়েছেন কর্মজীবী হাজার হাজার মানুষ। উপার্জন না থাকায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
এমন অবস্থায় সরকার ও প্রশাসন থেকে কোনো সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না, এমন অভিযোগ তাদের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাহায্যের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রতি পরিবারের জন্য ৫৫০ টাকার একটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা আসেনি। করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে আশেপাশের স্বাবলম্বী-বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
ভবেরচর স্ট্যান্ড এলাকার চায়ের দোকানদার মোহাম্মদ রফিক বলেন, 'লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ রেখেছি। ছয়জনের সংসার; চা বিক্রি করে আমার সংসার চলে। আয় বন্ধ থাকলে সংসার চলবে কি করে?'
“গত লকডাউনের সময়ও দোকান বন্ধ ছিল। তখন জমানো টাকা ভেঙে সংসার চালিয়েছি। এখন ঘরে টাকা নেই। দিনের পর দিন দোকান বন্ধ থাকলে তো, না খেয়ে মরতে হবে। সরকারের সাহায্য ছাড়া বেঁচে থাকা দুরুহ হবে।"
এদিকে লকডাউনে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার ৭ থেকে ৮টি অভ্যন্তরীণ রুটে চালাচলকারী অটোরিক্সা, সিএনজি চালক ও কয়েক শত দিনমজুর শ্রমিক।
রবিবার সকালে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকজন মিশুক চালক, সিএনজি চালক, চায়ের দোকানদার কিন্তু বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা। কয়েকজন শ্রমিক বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করছেন।
কর্মহীন সাধারণ দিনমজুর শ্রমিকদের অভিযোগ এখন লকডাউনে খুব সমস্যার মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। কাজ না থাকায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে না খেয়ে কষ্টের দিন কাটাচ্ছেন তারা। এলাকার জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সরকার এমনকি শ্রমিক সংগঠনের কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছে না।
সময় জার্নাল/এমআই