মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পল্লীতে এক প্রভাবশালীর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছেন ভূক্তভোগী গ্রামবাসীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে চিংড়াখালী ইউনিয়নের উত্তর চিংড়াখালী গ্রামের আমতলা এলাকায় এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবার অভিযোগ করে বলেন, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা গ্রামের প্রভাবশালী অজিয়ার রহমান শিকদার কামলা ও সিমান্তবর্তী উত্তর চিংড়াখালী গ্রামের একাধিক পরিবারকে একের পর বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এ ঘটনায় অর্পূব বৈরাগী বাদি হয়ে অজিয়ার শিকদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রামচন্দ্রপুর চিংড়াখালী সার্বজনীন রাধাগোবিন্দ মন্দির সংলগ্ন জমিতে জোরপূর্বক নালায় সুপারী জাগ দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ বিনষ্ট ও বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছে গ্রামবাসীদের। এ ঘটনা প্রতিবাদ করলে মন্দিরের জমিদাতা নিরঞ্জন বৈরাগী (৬৫), ছেলে অপূর্ব বৈরাগী (২৮) ও মন্দিরের সেবাহিত শ্যামলী রানী বৈরাগীকে লাঞ্ছিত ও মারপিট করে আহত করে অজিয়ার ও তার লোকজন। ওই প্রভাবশালীর পালিত গরু ছেড়ে দিয়ে সাধারণ কৃষকের ফসল বিনষ্ট করে ক্ষতিস্বাধন করে।
প্রতিবাদ করলে একাধিককে মারপিটের শিকার হতে হয়েছে। অজিয়ার শিকদারের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায়না। এলাকায় তার একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে একাধিক ভূক্তভোগীদের।
প্রতিবাদ সভায় কামলা গ্রামের নিভারানী মিস্ত্রী, চিংড়াখালী গ্রামের সুত্রিতা মাঝি, তাপসী মিস্ত্রী, সুকুমার মিস্ত্রী, বৃদ্ধ শুকলাল মিস্ত্রী, নিরাঞ্জন বৈরাগী, মন্দিরের সেবাহিত শ্যামলী বৈরাগী, আশিষ কুমার বৈরাগী, নিখিল মিস্ত্রীসহ দুই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার নিরাঞ্জন বৈরাগী ও তার পরিবারের ওপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি ও অজিয়ার শিকারের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিক্ষোভ সভা থেকে।
এ বিষয়ে চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলু বলেন, অজিয়ার শিকদার পার্শ্ববতী রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে বাসিন্দা এলাকায় সে বেপোরোয়া। মারপিটের বিষয়টি শুনে খোঁজ খবর নিয়ে উর্দ্ধতন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা পোলেরহাট ফাঁড়ি আইসি এসআই আবজাল হোসেন বলেন, অপূর্ব বৈরাগীর অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তবে, অজিয়ার শিকদারের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ রয়েছে।
অজিয়ার শিকদার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, জাগ দেওয়া সুপারী তুলে নেওয়া হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একটু বাক বিতান্ডা হয়েছিলো তাতো মিল মিস হয়েছে। আমি কাউকে হয়রানি করিনা।
সময় জার্নাল/এলআর