বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

মোরেলগঞ্জে নিষেধাজ্ঞার ১৬ দিন পার, জেলেরা পায়নি সাহায্য

শনিবার, অক্টোবর ২২, ২০২২
মোরেলগঞ্জে নিষেধাজ্ঞার ১৬ দিন পার, জেলেরা পায়নি সাহায্য

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাগরে মা ইলিশ ধরা বন্ধ। অবরোধের ১৬ দিনঅতিবাহিত হলেও এখন চাল পাননি জেলেরা। অবকাশ কালিন সময়ে জাল-নৌকা, ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মোরেলগঞ্জের জেলেরা। অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি স্থানীয় হাজার হাজার জেলেদের।  
   
 সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী, আমতলী, মধ্য বরিশাল, পশুরবুনিয়া, চিংড়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব-চন্ডিপুর পশুরিপাড়া, চন্ডিপুর, বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর বারইখালী, কাষ্মির, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বদনী ভাঙ্গা, পাঠামারা, সদর ইউনিয়নের গাবতলা, কাঠালতলা, পুটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী সহ ১৩ টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জেলে পরিবার শুধুমাত্র ইলিশ আহরণের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। প্রতি বছর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ অবরোধ কালিন সময় পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিন যাপন করতে হয় তাদের। 

অবকাশ কালিন সময়ে এ জেলে পরিবার ২২ দিনে সরকারিভাবে ২৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। যাহা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এদের মধ্যে মৎস্য দপ্তরের নিবন্ধিত জেলের তালিকায় আসেনি অনেকেই। আবার মৎস্য আড়ৎদার দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে বছরের পর বছর জিম্মি হয়ে পড়েছেন অনেক পরিবার। দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তাদের। 

সেলিম তালুকদার, ডালিম শেখ, শুকুর আকন, আশ্রাব আলী শেখ, জাফর তালুকাদার, বেল্লাল ফরাজী, আসাদুল শিকদারসহ একাধিক জেলেরা বলেন, অবরোধের ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও চাল পায়নি আর শুধুমাত্র ২৫ কেজি চাল দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে সংসার চলবে। জেলে কার্ডে অনেকের নাম বাদ পড়েছে। জরিপ চলাকালিন সময়ে আমরা থাকি সাগরে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিলে অবরোধ কালিন সময়টা ভাল কাটতো। 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন শেখ বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত বছরের চেয়ে এ বছরে ৫ কেজি চাল বৃদ্ধি করেছে। তবে, খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা, বিনা সুদে ব্যাংকের মাধ্যমে লোন দিয়ে জেলেদেরকে দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করারও দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। 

এ সর্ম্পকে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, এ উপজেলা ৯ হাজার ৮২৭ জন নিবন্ধিত জেলের তালিকা রয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৩শ’ ৩৪ জন খাদ্য সহায়তার আওতায় রয়েছে। অবরোধকালিন ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হবে। বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। 

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল