এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কৃষক মোজাম্মেল হোসেন হাওলাদারের বাগানবাড়ির জোড়পূর্বক অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে পূর্ব চিপা বারইখালী গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন হাওলাদার ৬৮ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। বৃহস্পতিবার ও আগেরদিন বুধবার দু’দফায় একই গ্রামের প্রভাশালী প্রতিপক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম রেজার ভাতিজা সুমন শেখের নের্তৃত্বে ১৫/২০ জন লোকজন নিয়ে কৃষক মোজাম্মেল হোসেনের বাগানবাড়ির চাম্বল, মেহেগনী ৮/১০টি বড় গাছ পেয়ারা, লিচু, ৩৯ টি বাশের ঝাড় সহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলে জোড়পূর্বক ঘেরাবেড়া দিয়ে জমি দখল করে নেয়। এতে ওই কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি স্বাধন হয়।
এ সময় হামলাকারীরা কৃষকের স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও তার মেয়ে মারুফা আক্তারকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে। ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহবধু কোহিনুর বেগম (৬৫) বলেন, স্বামী ও তার ছেলেরা বাড়ীতে না থাকায় পরিকল্পিতভাবে তাদের ভোগদখলীয় জায়গা ঘেড়াবেড়া দিয়ে দখলে নেয়। গাছগুলো কাটার সময় ওয়ার্ডের মেম্বার দাড়িয়ে ছিলেন। প্রভাবশালীদের বাঁধা দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি। আমরা এ ঘটনার প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক মোজাম্মেল হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলম রেজা সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম রেজা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জোড়পূর্বক তিনি কারো জমি দখল করেননি। তার পৈত্রিক নিজ জমির গাছ কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা সন্ন্যাসী ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই অনুপ রায় বলেন, মোজাম্মেল হোসেনের অভিযোগের বিষয়টি ঘটনাস্থলে তদন্ত করা হয়েছে। কর্তৃনকৃত গাছগুলো মেম্বারের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে। #
সময় জার্নাল/এলআর