আজাহারুল ইসলাম, ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ডের বিতর্ক হাইকোর্টে গড়িয়েছে। বিতর্কিত এ বোড অবৈধ দাবি করে তা বন্ধ করতে ও পুনরায় বোর্ড আয়োজন করতে রিট আবেদন দায়ের করেছেন প্রার্থী শাহবুব আলম। এছাড়া একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এর আগে বোর্ড চলাকালে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য হয়।
গত বৃহস্পতিবার প্রার্থী শাহবুব আলমের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জমারত আলী। রিট নম্বর ১২৮৯৯। শনিবার বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রিটকারী শাহবুব আলম নিয়োগ বোর্ডের প্রার্থী তালিকায় প্রথম ছিলেন।
রিটে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান, বোর্ডের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামানকে বিবাদী করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডে অন্য সদস্যদের দ্বারা অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে বোর্ডে চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বেরিয়ে যান বিভাগটির সভাপতি প্রফেসর ড. বখতিয়ার হাসান। পছন্দের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এ মতানৈক্য হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরে বোর্ডের আইনানুগ বৈধতার প্রশ্ন তুলে ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন শাহবুব আলম। এতে তিনি বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বোর্ডটি পূনরায় গ্রহণের দাবি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিধির ২০ ধারা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ৪ সদস্যের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, নিয়োগ বোর্ড হয়েছে, বাকী সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে নেওয়া হবে। সিন্ডিকেট সভার আগে নিয়োগ বোর্ড নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা অবৈধ। সিন্ডিকেট যদি মনে করে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে তাহলে তা বাদ দিয়ে দিবে।
এমআই